দেশব্যাপী সন্ত্রাসীরা সরকারের প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে: ফখরুল
আওয়ামী লীগের বিধানে সুষ্ঠু নির্বাচন, পরমত সহিষ্ণুতা, বিবেক, সহমর্মিতা ও দয়া-মায়ার লেশমাত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তরিকুল ইসলামের ওপর আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নৃশংস ও পৈশাচিক হামলা এবং তাকে হত্যার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হয়েছে— সরকার রক্ত ঝরিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চায়।
গতকাল রোববার (১৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তরিকুল ইসলামের ওপর পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের বর্বরোচিত হামলা এবং তাকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশে যে খুন-খারাবির মহোৎসব চলছে, তাতে রাষ্ট্র অমানবিক চেহারায় রূপ লাভ করেছে। সহিংস সন্ত্রাসই হচ্ছে এদের রাজনৈতিক আদর্শ। সেজন্যই রক্তাক্ত কায়দায় বিরোধী দল ও মতকে দমন করে যাচ্ছে। শুধু রাজনৈতিক বিরোধী পক্ষই নয়, বিবেকবান নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবী যারা সত্য কথা বলছেন তারাও শাসকগোষ্ঠীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন হত্যা, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ সন্ত্রাসের এক অভয়ারণ্যের নাম বাংলাদেশ। বর্তমান সরকার দেশকে এক মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত করেছে। ন্যায়বিচার দেশ থেকে তিরোহিত হয়ে গেছে। বিরোধীপক্ষকে হত্যা করার পরও বিচার না হওয়ায় হত্যাকারীরা উৎসাহিত হচ্ছে। দুষ্কৃতকারীরা যেই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে যদি শাস্তি দেয়া হতো, তাহলে সিরাজগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর পদে বিজয়ী তরিকুল ইসলামকে আওয়ামী লীগের পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে জীবন দিতে হতো না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে এখন আইন-কানুনের কোনো বালাই নেই। সব অবিচার-অনাচার আড়াল করতেই দেশব্যাপী দুষ্কৃতকারীরা সরকারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রক্তাক্ত কর্মসূচির ধারা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুপথের যাত্রী হতে হলো তরিকুল ইসলামকে। তার ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে আরেকটি কলঙ্কিত অধ্যায়।’