এ মাসেই পদ্মা সেতুতে বসছে আরও ৫ স্প্যান
চলতি মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুতে বসবে আরও পাঁচটি স্প্যান। পদ্মা সেতুর পাঁচটি স্প্যান এখন পুরোপুরি প্রস্তুত। স্থাপনে বাধা শুধু নাব্য সংকট। উচ্চক্ষমতার ড্রেজারে রাত-দিন ড্রেজিং চলছে।
যার মধ্যে তিনটি স্প্যান স্থায়ী আর দুটি বসবে অস্থায়ীভাবে।
আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে পদ্মা সেতুর সব স্প্যান বসানোর লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলছে কাজ। এখন পর্যন্ত মূল সেতুর কাজে ৭৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।
পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ইনপুট বাড়িয়েছি, যাতে এটি পুরোপুরি করতে পারি। আমাদের টার্গেট হলো– ডিসেম্বরে আরও পাঁচটি স্প্যান বসাবো। এবং জুনের দিকে সব স্প্যান বসিয়ে দেব।
জানা গেছে, সেতুর লম্বা দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান এখন জাজিরা প্রান্তে। এক সঙ্গে ৯টি স্প্যানে দেখা যায় প্রায় দেড় কিলোমিটার।
তবে এখন মাওয়া প্রান্তেও কাজ বেড়েছে। মাঝনদীতে তিনটির পাশাপাশি মাওয়াতেও একসঙ্গে বসে গেছে চারটি স্প্যান। স্রোত কমে যাওয়ায় সামনের দিনের পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে এ প্রান্তকে ঘিরেই।
সেতুর ৩ ও ৪ নম্বর মডিউলে চলতি মাসে চলবে কাজ। ২৬ নভেম্বর ১৭তম স্প্যান বসিয়ে দেয়ার পর ৩০ নভেম্বর বসেছে আরেকটি স্প্যান। ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারে অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ৩০ ও ৩১ নম্বর পিলারের স্প্যানটি। ভিন্ন মডিউলে হওয়ায় এ স্প্যানটিকে গণনা করা হচ্ছে না দৃশ্যমানের তালিকায়।
ইয়ার্ডে জায়গা না থাকায় পিলারের ওপর এভাবে আরও অস্থায়ী স্প্যান এনে রাখা হবে।
বর্ষার প্রতিকূলতা কাটিয়ে কাজ শুরুর পর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সব মিলে পাঁচটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা সেতু কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সেতুর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয়, ১০ মার্চ তৃতীয়, ১৩ এপ্রিল চতুর্থ, ২৯ জুন পঞ্চম, ২০১৯ সালে ২৩ জানুয়ারি ষষ্ঠ, ২০ ফেব্রুয়ারি সপ্তম, ২০ মার্চ অষ্টম, ১৮ এপ্রিল নবম স্প্যান বসানো হয়।
প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে সবকটি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে।