নওগাঁ পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপি প্রার্থীর ওপর হামলা

0

আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নওগাঁ পৌর নির্বাচন। বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র নজমুল হক ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে হামলা ও মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার রাত ৮টার দিকে নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠ এলাকায় গণসংযোগ চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় শনিবার বিকেল ৫টা থেকে নওগাঁ পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টারপাড়া এলাকার জনকল্যাণমোড় থেকে পায়ে হেঁটে গণসংযোগ শুরু করেন বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকরা। রাত ৮টার দিকে নওযোয়ান মাঠ এলাকায় প্রচারণা চালানোর সময় ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে আসা হেলমেটধারী ২০ থেকে ২৫ জন যুবক বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়।

হামলায় বিএনপির প্রার্থী নজমুল হক সনি, তার ছেলে সাদমান নিলয়, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস শুকুর, সদস্য এটিএম ফিরোজ হোসেন, আকলাকুর রহমান ও আব্দুল হাকিম, নওগাঁ জেলা জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংসদের (জাসাস) সাধারণ সম্পাদক এম কে ইকবাল, পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলাল হোসেন, নওগাঁ জেলা মৎস্যজীবী দলের
আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম ও জেলা যুবদলের দফতর সম্পাদক ময়নুল হক আহত হয়েছেন।

বিএনপির অন্য নেতা-কর্মী ও স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় নওযোয়ান মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। একই রাতে শহরের দয়ালের মোড় ও জনকল্যাণ মোড় এলাকায় বিএনপির প্রচার ক্যাম্প ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ পৌরসভার মেয়র ও বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজমুল হক সনি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য রায়হান আকতার রনিসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ উপস্থি ছিলেন।

পরে হামলার প্রতিবাদে জেলা বিএনপির দলীয় অফিসের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির প্রার্থী নজমুল হক সনি বলেন, ‘প্রচারণা চালানোর সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদের হামলার মূল লক্ষ্য ছিলাম আমি। কিন্তু আমাকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ছেলে ও কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার পর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি ছাড়া পেলেও অন্যরা এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘তাদের হামলার উদ্দেশ্য আমাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ভয়-ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে কেউ ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাওয়ার সাহস না করে। আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরুর পর থেকেই পৌর এলাকায় ইতোমধ্যে ভোট সন্ত্রাস শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com