কেন্দ্র দখল, দেখিয়ে ভোট নেয়া, ভোটারদের বাধা, এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়ম
কেন্দ্র দখল, দেখিয়ে ভোট নেয়া, ভোটারদের বাধা, এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট শুরুর মাত্র দুই ঘণ্টার মাথায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র ও ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী।
শনিবার সকাল ১০টায় পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ বিএনপির মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
এ সময় মেয়রের সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত সকল কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র প্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করে বলেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্রে দখল করে নেয় আওয়ামী সমর্থকরা। তারা ভোটারদের প্রকাশ্যে ভোট দেখিয়ে দিতে এবং সাধারণ ভোটারদের বাধা প্রদান করে।
এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে তার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই মেয়র প্রার্থী।
এ সময় মেয়র দাবি করেন, প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়ে তিনি পাননি। ভোটের আগের দিন রাতভর তার কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন দেশে এই রকম পরিবেশ হতে পারে না, পুরোপুরি বাকশাল কায়েম করা হয়েছে। গত রাতে তার ২৭ জনসহ সকাল পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত লোকজনকে মারধর করে আহত করা হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন বলেন, ভোটারদের উপস্থিতি ভালো থাকলেও তাদেরকে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জোর করে তাদের ভোট নেওয়া হয়েছে।
অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম বলেন, র্যাব-পুলিশের উপস্থিতিতে তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী এমরান হোসেন বলেন, ভোটের অনিয়ম তুলে ধরায় প্রেসক্লাব সভাপতিসহ মিডিয়ার অনেক ভাইকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।