নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির আন্দোলনের অংশ: বিএনপি
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যেভাবে সারা দেশে নির্বাচন হচ্ছে, তাতে জনগণের মতামত প্রকাশিত হয় না। দেশে এখন গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই। তারপরও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। কারণ, নির্বাচনে অংশ নেওয়াটা বিএনপির আন্দোলনের একটা অংশ। আমরা দেশে গণতন্ত্র চাই, দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনতে চাই।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর শহরের রামনগর মোড় এলাকায় তিনি ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর নির্বাচনী পথসভায় এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল পৌর নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের হাতে ধানের শীষ তুলে দিয়ে উপস্থিত ভোটারদের ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাভাইরাসের টিকা বের হয়েছে। অন্যান্য দেশে টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখনো টিকা আসেনি। কারণ, টিকা আনতে হবে ভারত থেকে। এই টিকা নিয়েও আওয়ামী লীগের দলীয় লোকজন ব্যবসা করবে। দেশে সব জায়গায় দুর্নীতি চলছে, শুধু দুর্নীতি নয় মেগা দুর্নীতি চলছে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা কথা বললে পুলিশি হয়রানির শিকার হই। দিনাজপুরেও অসংখ্য নেতা–কর্মী মাসের পর মাস জেল খাটছেন। মেয়র জাহাঙ্গীরকেও ছাড়ে নাই। আমি নিজেও বহুবার জেলে গিয়েছি। অসংখ্য মামলার আসামি হয়ে আছি। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললে দেখবেন হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবর। তাদের কিছু হয় না। যত দোষ বিএনপির। আবার বলে, বিএনপি নাই। বিএনপি নাই তো সারাক্ষণ বিএনপির কথা বলেন কেন?’
আওয়ামীলীগ সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোটের সময় বলেছিল ১০ টাকা কেজি ধরে চাল দেবে। এখন চালের কেজি ৬০ টাকা। বলেছিল বিনা পয়সায় সার দেবে, সারের দাম এখন চড়া। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলেছে, সেখানে টাকা ও আওয়ামী লীগের সিল ছাড়া চাকরি হয় না।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আইনে গত মাসে দুই শতাধিক মানুষকে আটক করেছে। সত্য কথা বললে আটক করে মামলা দেয়। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, মানুষের কথা বলার স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। কথা বলার অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। বিএনপির এই আন্দোলন গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আন্দোলন, মা-বোনদের সম্মান ফিরে পাওয়ার আন্দোলন, কৃষক–শ্রমিকের ন্যায্যতা রক্ষার আন্দোলন।’