এত গুম-খুনের পরও বিএনপি নেতারা গর্ত থেকে বেরিয়ে আসছে: রিজভী
সরকার এত গুম, খুন, মামলা করলো তারপরেও বিএনপি নেতারা পিঁপড়ার মত গর্ত থেকে বের হয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিরুদ্ধে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন মামলা গলার মালা। আমি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি আধ্যাত্মিক মূলক গান ওটা দিয়েই বলতে চাই। উনি বলেছেন আল্লাহ আমার মাথার মুকুট রাসূল গলার হার। আমি এটা বলতে চাই এই সরকারের আমলে বিএনপির মাথার মুকুট হচ্ছে গুম আর মামলা হচ্ছে গলার মালা।
তিনি বলেন, কেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বেগম খালেদা জিয়া তারেক রহমানের নামে কুৎসা? তারেক রহমান লন্ডনে আছে তারপরেও বাংলাদেশ থেকে তার নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়। তাদের (আওয়ামী লীগের) হৃদয়ের ভিতর খালি হিংসা। আমি কথাটা এই জন্য বলছি যে কথাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জিয়াউর রহমান বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমান জাতীয়তাবাদের প্রতীক। জাতীয়তাবাদ মানে কি আমি সহজ কথায় বলি। নিজের উপর অহংকার। যার সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা, পতাকা, মাটি, পাহাড়, পাখি নিয়ে অহংকার করে তারাই জাতীয়তাবাদী। আর এই অহংকার জাগিয়েছে আমার দেশের কবি সাহিত্যিকরা।
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে বাদ দেয়া হয়েছে। আপনারা খবর নেবেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের যুদ্ধের প্রেরণা, আন্দোলনের প্রেরণা, গণতন্ত্র অধিকার এর প্রেরণা, সেই কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। কেন? আধিপত্য শক্তিকে খুশি করার জন্য। আজকে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও কাজী নজরুল ইসলামকে বাদ দেয়া একই সূত্রে গাঁথা। আধিপত্য শক্তিকে এবং প্রভুদের কে খুশি করার জন্যই এই কাজ করা হয়েছে।
বিএনপর যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ভাইস চেয়ারম্যান ডা: এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম,যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, কৃষকদলের সদস্য সচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন,সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সস্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এছাড়াও মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন,বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, মৎস্যজীবি দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: দেওয়ান সালাউদ্দীন বাবু,সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, সাংগঠনিক সাইফ মাহমুদ জয়েল, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব,যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।