১/১১ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শোষণ করার জন্য শেখ হাসিনা কনটাকে সাইন করছে: গয়েশ্বর
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, `এক-এগারোর যে তান্ডব, বিরাজনীতিকরণের যে তান্ডব তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়েছেন আমাদের দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তার পরিবার।’
`১/১১‘র ওরা চেষ্টা করছে নানাভাবে ম্যাডামকে রাজি করাতে। কিন্তু ম্যাডাম কোনো অবস্থাতেই সংবিধানের বাইরে অথবা গণতন্ত্রের প্রশ্নে মাথা নত করেন নাই। সেকারণে আজকে দুর্ভোগ, আজকে তিনি গৃহবন্দি। আর আজকে যারা বেনিফিটা নিছেন তারা আপোষ করা মধ্য দিয়ে যেই বিদেশী শক্তিগুলো আমাদের এখানে ১/১১ এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে শোষণ করার জন্য তারা ক্ষেত্র প্রস্তুত করছে, সেই বিদেশী শক্তির কাছে সে (শেখ হাসিনা) কনটাকে সাইন করছে। এই শক্তি যতদিন মনে করেন তিনি ক্ষমতায় থাকবেন। গণতন্ত্র আছে কি নাই, গণতন্ত্র চুলায় গেলো- এটা দেখার ব্যাপার না।’
তারেক রহমানের নেতৃত্বে ২০২১ সালেই গণতন্ত্র আবার ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশাও করেন তিনি।
একই সঙ্গে ১/১১ মতো যেন আগামীতে দলের মধ্যে ‘দ্বিধা-বিভক্তি’ যাতে না হয় সেজন্য সকল নেতাদের স্মরণ করিয়ে দেন গয়েশ্বর।
গতকাল সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকালে ‘এক এগারো—বিরাজনীতিকরণের ধরাবাহিকতায় চলমান ফ্যাসিবাদ: গণতন্ত্রই মুক্তির পথ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত সরকারের ক্ষমতা দখলের দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালনে বিএনপির উদ্যোগে ‘এক এগারো : বিরাজনীতিকরণের ধারাবাহিকতায় চলমান ফ্যাসিবাদ: গণতন্ত্রই মুক্তির পথ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভা হয়।