বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী বডি বিল্ডার
শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে ও ফিট থাকতে অনেক নারীই জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করেন। তবে বডি বিল্ডার হিসেবে কম নারীই নিজেদের দেখতে চান। ফিট থাকতে শরীরচর্চার কোনো বিকল্প নেই।
বয়স ৩০-৪০ পেরোলেই অনেক নারী হয়ে পড়েন শারীরিকভাবে দুর্বল। এ বয়সে যদি কাউকে বলা হয়, বডি বিল্ডার হিসেবে নিজেকে গড়তে হবে। তিনি হয়তো বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে হেসে উড়িয়ে দেবেন।
জানলে অবাক হবেন, বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক বডি বিল্ডার হিসেবে খেতাবপ্রাপ্ত নারী আর্নেস্টাইন শেফার্ড ৫৬ বছর বয়স থেকে ওয়েট ট্রেনিং নেওয়া শুরু করেন। ঘটনাটি সত্যিই বিস্ময়কর!
বর্তমানে তার বয়স ৮৪ এর কোঠায়। ১৮৩৬ সালের ১৬ জুন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। যে বয়সে তার নাতি-নাতনিদের নিয়ে খেলার কথা; সে বয়সেই কি-না তিনি শুরু করেন জিমে গিয়ে শরীরচর্চা।
তার অধ্যবসায়ের ফলও তিনি পেয়েছেন। ২০১০-২০১১ সালে শেফার্ড গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বয়স্ক নারী বডি বিল্ডার খেতাব পান! এরই মধ্যে তিনি দুটি বডি বিল্ডিং খেতাবও জিতেছেন।
তিনি ভোর ৩টায় ঘুম থেকে ওঠেন। সপ্তাহে ৮০ মাইল দৌড়ান! সকাল ৮টায় প্রশিক্ষণ শুরু করেন। প্রতিদিনের ডায়েটে থাকে ডিম, মুরগি এবং শাক-সবজি। প্রচুর পানি পান করেন। প্রতিদিন ১৭০০ ক্যালোরি খাবার গ্রহণ করেন।
শেফার্ড মেরিল্যান্ডের বাল্টিমোরের একজন মডেল। তার যখন ৫৬ বছর বয়স; তখন তিনি ও তার বোন সাঁতারের পোশাক পরতে যান। সেখানে শেফার্ড লক্ষ্য করেন, তার শরীরে চর্বি জমে গেছে। ফলে পোশাকটি শরীরে বেমানান লাগছে।
এরপর বোনের উৎসাহে শেফার্ড অ্যারোবিকসে যুক্ত হয়ে শরীরচর্চা শুরু করেন। পরবর্তীতে বডি বিল্ডার হিসেবে নিজেকে দেখার আগ্রহ পোষণ করেন। তার বোন ১৯৯০ সালে মারা যান। বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শেফার্ড সব পুরস্কার উৎসর্গ করেন। তার বোনই ছিলেন তার উৎসাহদাতা।
দৃঢ় আত্মবিশ্বাস সব অসম্ভবকেই সম্ভব করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে তা-ই হয়েছে। তার ৫৬ বছর বয়স থেকে এখন পর্যন্ত নিয়ম মেনে বডি বিল্ডিং করে যাচ্ছেন! শেফার্ড বলেন, ‘বয়স একটি সংখ্যা মাত্র। মনের জোর থাকলে সবই করা সম্ভব।’