সিইসির বিরুদ্ধে দুদকে ১০ আইনজীবীর অভিযোগ
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অর্থ লোপাটের অভিযোগ এনে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।
প্রশিক্ষণের নামে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালা ব্যতীত ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা খরচসহ সরকারি অর্থের ক্ষতি করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
৪২ বিশিষ্ট নাগরিক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণ, আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ আনেন। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে লিখিত দাবি জানান তারা। এছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের সময় চেয়েও অনুরোধ জানান। এরপর ১৯ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে ওই বিশিষ্টজনরা বিষয়টি প্রকাশ করেন। সেসময় তারা ইসির দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনে দুই ধরনের ৯টি অভিযোগ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে আর্থিক অনিয়ম এবং দ্বিতীয় হচ্ছে নির্বাচনী অনিয়ম।
এছাড়া দুর্নীতি ও অর্থসংশ্লিষ্ট তিনটি অভিযোগ হচ্ছে–‘বিশেষ বক্তা’ হিসেবে বক্তৃতা দেয়ার নামে দুই কোটি টাকা নেয়ার মতো আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম, নির্বাচন কমিশনের কর্মচারী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪ কোটি ৮ লাখ টাকার অসদাচরণ ও অনিয়ম এবং নিয়মবহির্ভূতভাবে তিনজন কমিশনারের তিনটি গাড়ি ব্যবহারজনিত আর্থিক অসদাচরণ ও অনিয়ম।
নির্বাচন সংক্রান্ত ৬টি অভিযোগ রয়েছে– ইভিএম কেনা ও ব্যবহারে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম, ঢাকা (উত্তর ও দক্ষিণ) সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলোতে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম এবং সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গুরুতর অসদাচরণ ও অনিয়ম।