আওয়ামী লীগের ঘরের মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে: আলাল
রাষ্ট্রের কত কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাদের পেছনে ব্যয় করা হচ্ছে, তা জাতির কাছে তথ্য আকারে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সেন্টার ফর ন্যাশনালিজম স্ট্যাডিজ (সিএনএস) এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘সরকারের কাছে জানতে চাই, এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কারা এবং তাদের পারিশ্রমিক, বেতন-ভাতা, সুযোগ সুবিধা কি কি? এটা অবিলম্বে জাতির সামনে তথ্য আকারে প্রকাশ করা হোক। আমরা জানতে চাই, কোন কোন উপদেষ্টা রয়েছেন এবং রাষ্ট্রের কত কোটি টাকা তাদের পেছনে ব্যয় করছেন। কি কি সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন। এটা জানার অধিকার আমাদের আছে। সংবিধানেও আছে এবং তথ্য বাতায়ন অধিকারেও আমাদের জানার অধিকার আছে।’
তিনি বলেন, ‘আর একটা জিনিস আপনাদের মুখ থেকে শুনতে চাই, করোনার টিকা আমদানিতে যদি ভারতের সাথে নয়ছয় হয় তাহলে এর বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করেছেন কিনা এবং দেশের জনগণের জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেয়ার কোনও ব্যবস্থা করবেন কিনা।’
যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘এই টিকা নয়ছয় হলে প্রধানমন্ত্রী খেয়াল রাখবেন, এটা তারা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী কী খেয়াল রাখবেন তা তো ওবায়দুল কাদের ভাই বলেছেন। আজকেও তিনি বলেছেন, ‘ভোট চুরির নির্বাচন আমি করতে চাই না। আমি সত্য কথা বলেই যাবো, তাতে আওয়ামী লীগ আমার যাই করুক না কেন’।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঘরের মধ্যেই বিদ্রোহ শুরু হয়েছে। সত্য কথা বলা শুরু হয়েছে। সুতরাং মাস্কের আড়ালে থেকে বেশিদিন নিজের চেহারা আড়াল রাখতে পারবেন না। চেহারার কুৎসিত রঙটা বেরিয়ে যাবেই।’
আলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের বা পৃথিবীর যেকোনও জায়গায় একটা দেশের স্বাধীনতাই শেষ কথা নয়। দেশটির শেষ কথা হচ্ছে সার্বভৌমত্ব। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার মতোই। যে স্বাধীনতা অরক্ষিত সেটা পরোক্ষভাবে পরাধীনতার মতই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসে সরকার বারবার যে সুবর্ণজয়ন্তীর কথা বলছে, এটা কি আসলেই সুবর্ণজয়ন্তী? নাকি ‘বিবর্ণজয়ন্তী’? এই প্রশ্নটা বাংলাদেশের মানুষের মাঝে সব সময় জাগে। ‘সুবর্ণ সুবর্ণ’ আমরা বলছি, কিন্তু সুবর্ণ তো শুধুমাত্র একটা শ্রেণির জন্য। বিশেষ কিছু মানুষের জন্য। সুবর্ণজয়ন্তী সালমান এফ রহমানের জন্য, বেক্সিমকোর জন্য, পাপনের জন্য, পাপিয়া-শাহেদদের জন্য আর ২ হাজার কোটি টাকা পাচারকারী ছাত্রলীগ সভাপতি, এদের জন্য। কিন্তু এই আওয়ামী লীগের কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর জন্য এই সুবর্ণজয়ন্তী হচ্ছে ‘বিবর্ণজয়ন্তী’। জনগণের জন্য এটা সুবর্ণজয়ন্তী না।’
সংগঠনের ট্রাস্টি ব্যারিস্টার মীর হেলারের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আব্দুল হাই শিকদার ও ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।