টিসিবি ভবনে চলছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানি। এতে আজ ১৯.৫ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিইআরসি। তবে মূল্যবৃদ্ধির জন্য এ গণশুনানি আয়োজনের প্রতিবাদে টিসিবি ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করছে গণসংহতি আন্দোলন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় টিসিবে ভবনের ভেতরে এ গণশুনানি ও বাইরে গণসংহতি আন্দোলন প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখা যায়।
শুনানিতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১৯ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বিদ্যুতের পাইকারি দাম ২৩ দশমিক ২৭ ভাগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)।
পিডিবির পক্ষ থেকে দাম প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার কাউসার আমীর আলী। অন্যদিকে মূল্যায়ন কমিটির পক্ষে প্রস্তাব উপস্থাপন করেন কমিশনের উপপরিচালক (ট্যারিফ) মো. কামরুজ্জামান। শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, কমিশনের সদস্য মিজানুর রহমান, সদস্য আব্দুল আজিজ, সদস্য রহমান মুরশেদ, সদস্য মাহমুদউল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন অংশ নিয়েছে। পাশাপাশি দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি এবং কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রতিনিধি উপস্থিত আছেন।
আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত পিডিবি প্রস্তাবিত পাইকারি মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানির পর দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) প্রস্তাবিত সঞ্চালন মূল্যহার পরিবর্তন নিয়ে শুণানি হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর রোববার থেকে শুরু হবে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবিত দামের ওপর শুনানি। প্রথমদিন ১ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় শুরু হবে পিডিবির গ্রাহক পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর শুনানি। একই দিন দুপুর ২টায় শুরু হবে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (নেসকো) শুনানি। ২ ডিসেম্বর সকালে অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) এবং দুপুরে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) শুনানি। এরপর ৩ ডিসেম্বর সকালে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) এবং দুপুরে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহক পর্যায়ের মূল্যহার পরিবর্তনের ওপর গণশুনানি হবে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির গণশুনানির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের বক্তারা বলেন, কুইকরেন্টাল হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য। কিন্তু এই সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসলেও কুইকরেন্টাল পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করেনি। কুইকরেন্টালের নামে সরকার জনগণের কোটি কোটি টাকার অপচয় করছে, যে কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হচ্ছে।
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মইনুদ্দিন পাপ্পুর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।