যে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলো
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানসহ সাতজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন। ঘটনার প্রায় তিন বছর পর এ রায় ঘোষণা করা হলো।
যে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন সাবেক এমপি কাদের খান, কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন ও রানা, চন্দন কুমার রায়। চন্দন পলাতক, অন্যরা জেলা কারাগারে আছেন। আরেক আসামি কসাই সুবল কারাগারে অসুস্থ অবস্থায় মারা যান।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন তৎকালীন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি অজ্ঞাতপরিচয় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন লিটনের বড় বোন ফাহমিদা কাকলী বুলবুল। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক এমপি কর্নেল (অব.) আব্দুল কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে কাদের খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। আদালতে মামলার বাদী, নিহতের স্ত্রী, তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। লিটন হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত অবৈধ অস্ত্র মামলায় গত ১১ এপ্রিল কাদের খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।