২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সবই দেশি-বিদেশি মহলের ‘গভীর চক্রান্ত’: রিজভী

0

২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন সবই দেশি-বিদেশি মহলের ‘গভীর চক্রান্ত’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, ‘সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালে এবং ২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা জাতীয় নির্বাচন সবই ছিল দেশি-বিদেশি গভীর চক্রান্তের নির্বাচন।’

তিনি মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক টমাস জেফারসনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘অন্যায় যখন আইন, তখন প্রতিরোধই একমাত্র কর্তব্য।’

গতকাল সোমবার (০৫ জানুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ‘আজ ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এক কালিমালিপ্ত দিন। সাত বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে সারা দেশে ভোটার ও বিরোধী দলের প্রার্থীবিহীন একতরফা বিতর্কিত, প্রতারণামূলক, হাস্যকর ও শতাব্দির শ্রেষ্ঠ প্রহসনমূলক একদলীয় পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ৭৩ সালের ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের কলঙ্কিত রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে।’

বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, ‘দেশের ইতিহাসে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ কখনোই সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী সংস্কৃতি আওয়ামী লীগ কখনোই পাত্তা দেয় না। জনগণের ক্ষমতার প্রতি অবিশ্বাসী-অবিশ্বস্ত আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করতে পরিকল্পিতভাবে ২০১১ সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছিলো। এরপর যে কোনও উপায়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে তারা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে।’ 

বিএনপি এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আরও বলেন, ‘মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় থাকতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এখন জনরোষের ভয়ে দিনের বেলায় ভোট ডাকাতি করতেও ভয় পাচ্ছে। ধিক্কার জানাই এই আওয়ামী লীগকে। আওয়ামী লীগের কাছে নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুর মূল্য নেই। তাদের কাছে জবরদস্তি করে ক্ষমতায় দুর্নীতি লুটপাট করে সব চেটেপুটে খাওয়াটাই মুখ্য।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশে স্থিতিশীল, প্রাণবন্ত, দায়িত্বশীল, সুগ্রন্থিত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে না। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার থাকবে না। আর দেশে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার থাকলে আওয়ামী লীগ সরকারে থাকবে না।’

রিজভী বলেন, ‘একটি ষড়যন্ত্রের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সব দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নাগরিক স্বাধীনতার গলায় ফাঁসির দড়ি লটকিয়ে দিয়েছে। নিঃশব্দ বোবাকণ্ঠই হচ্ছে আওয়ামী বাকশালীদের কাছে প্রিয়। ক্ষমতাসীনরা উৎপীড়নের পথ বেছে নিয়ে যেভাবে গণতন্ত্রকে বিষাক্ত গ্যাস চেম্বারে ঢুকিয়েছেন, তার পরিণতি হবে এ সরকারের জন্য ভয়াবহ। মার্কিন রাষ্ট্রনায়ক টমাস জেফারসন বলেছেন- অন্যায় যখন আইন, তখন প্রতিরোধই একমাত্র কর্তব্য।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com