৫ জানুয়ারি স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক জনগণকে বন্দি করার দিন: তারেক রহমান

0

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জনের পরেও জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের কলঙ্কিত অধ্যায়কে ‘ঘৃণার সঙ্গে স্মরণ’ করে বিবৃতি দিয়েছে বিএনপি।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনকে এক ‘কলঙ্কিত দিন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বিবৃতিতে দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘সেদিন (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি) আওয়ামী মহাজোট সরকার সকল বিরোধী দলের দাবিকে উপেক্ষা করে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে রাখে। ১৫৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী কোনও প্রার্থীই ছিল না। জনগণের দাবিকে পদদলিত করে তারা একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। এই নির্বাচনে ভোটাররা অংশগ্রহণ করেনি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যাতে কোনভাবেই অনুষ্ঠিত না হয়, সেজন্য বিএনপিসহ বিরোধী দলের যৌক্তিক দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। এটি ছিল সম্পূর্ণরুপে তাদের পূর্বপরিকল্পিত।’

‘একদলীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যেই তারা সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। এমনকি সরকারের গঠিত পার্লামেন্টারি কমিটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনুকূলে মতামত প্রদান করলেও প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে তাঁর ইচ্ছাপূরণের দিকে এগিয়ে যান। এরপর শেখ হাসিনা ‘ডকট্রিন অব ফোর্স’ নীতির ওপর তাঁর অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে থাকেন। অবৈধ সরকার যৌথ বাহিনীসহ দলীয় সশস্ত্র ক্যাডাররা হিটলারের স্ট্রমট্রুপার বা ইয়ুথ বাহিনীর ন্যায় সারাদেশকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর এরা নিজ দেশের জনগণকে পরাজিত করার উল্লাসে মেতে ওঠে। এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়- নারায়ণগঞ্জে ত্বকী হত্যা ও সেভেন মার্ডার এবং লাকসামে বিএনপির সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম হিরু, পারভেজসহ অসংখ্য নেতাকর্মী যারা এখনো গুম হয়ে আছেন।’ 

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ চিরায়ত গণতন্ত্রে বিরোধী দলের যে অস্তিত্ব তাতে বিশ্বাস করে না। আর এই কারণে গুম, ক্রসফায়ার, ভূমিগ্রাস, জোরজুলুম করে চাঁদা আদায়ের মহাযজ্ঞে বিরোধীদলহীন এক নিবিড় শূন্যতা সৃষ্টি করে দেশের জনগণকে মুক ও বধির করতেই ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচন করে। গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার এবং আওয়ামী লীগ একসাথে চলতে পারে না। তার নজীর প্রতিমূহুর্তেই তারা স্থাপন করেছে দেশের বিভিন্ন জনপদে। বর্তমানে স্বৈরতন্ত্র এক বিভৎস রুপ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে। কারো কোনও নিরাপত্তা নেই। ঘর থেকে বের হয়ে আবার ফিরে যেতে পারবে কি না তা অনিশ্চিত। বাংলাদেশে এক ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে।৫ জানুয়ারি ২০১৪ আমাদের জাতীয় জীবনে এক বেদনাবিধুর দিন। এদিন গণতন্ত্র হত্যার দিন, এদিন পুরনো বাকশালের নতুনভাবে আত্মপ্রকাশের দিন, এদিন স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক জনগণকে বন্দি করার দিন।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com