এমপি লিটন হত্যায় কাদের খানসহ ৭ জনের ফাঁসি
গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খানসহ ৭ আসামির প্রাণদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত বৃহস্পতিবার সকালে এ রায় দেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এমপি লিটন হত্যায় যাদের ফাঁসি হয়েছে তারা হলেন- সাবেক সংসদ সদস্য কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদি, শাহীন, রানা ও চন্দন কুমার রায়। রায় ঘোষণার সময় ছয় আসামি আদালতে ছিলেন। অপর আসামি চন্দন কুমার রায় ভারতে পলাতক।
এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ৮ জনকে। এদের মধ্যে সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন। তাই মামলা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়েছে।
এর আগে ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিক রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ঠিক করে দেন।
এই মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানকে একই ঘটনায় অস্ত্র আইনের মামলার রায়ে গত ১১ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন এই বিচারক। এছাড়া অস্ত্র মামলায় পৃথক এক ধারায় তাকে ১৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালত।
আলোচিত এ মামলার ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল প্রথম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। বাদী, নিহতের স্ত্রী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত ৫৯ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ৩১ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। চলতি বছরের ১৮ ও ১৯ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি শফিকুল ইসলাম শফিক। ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালতের বিচারক।
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।
এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।
তদন্ত শেষে কাদের খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার বাসা থেকে গ্রেফতারের পর থেকে কাদের খান গাইবান্ধা জেলা কারাগারে রয়েছেন।