ইংরেজি নববর্ষের উৎসবে ১১ জনের মৃত্যু
ইংরেজি পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুন বছরের আগমন ঘটেছে। নতুনকে বরণ করে নিতে বিশ্বব্যাপী নানা উৎসব-আয়োজনে মুখর ছিল চারিদিক। যদিও এ বছর করোনা মহামারির কারণে আগের সব বছরের মতো উৎসবের সুযোগ মেলেনি। তবে বাড়িতে বসেও লোকজনের আনন্দ-উৎসব ছিল চোখে পড়ার মতো।
অনেক দেশেই এ বছর বড় পরিসরে নিউ ইয়ারের উৎসব পালনের অনুমতি দেওয়া হয়নি। আবার অনেক দেশেই স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু হয়েছে। এদিকে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার আয়োজনে বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছে।
শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, নিউ ইয়ারের উৎসবে বসনিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি কটেজে ৮ পুরুষ এবং এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, কার্বন মনোঅক্সাইড বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
একটি জরুরি ফোনকল পেয়ে ত্রিবিসটোভো শহরের একটি বাড়িতে গিয়ে তারা বেশ কিছু মরদেহ উদ্ধার করেন। বসনিয়া ও ক্রোয়েশিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিহত আটজনই শিক্ষার্থী।
অপরদিকে, তুরস্কে আতশবাজিতে চোখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নরওয়ের ফুটবলার ওমর এলাবদেলাউয়ি। আঙ্কারার লিভ হসপিটালের চিকিৎসক ডা. ভেদাত কায়া জানিয়েছেন, তার দুই চোখেই আঘাত লেগেছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই ফুটবলারের চোখ নষ্ট হয়নি। তবে তার একটি চোখের আঘাত গুরুতর।
এদিকে ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলে আতশবাজি বিস্ফোরণে ২৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জার্মানিতে বাড়িতে তৈরি আতশবাজি বিস্ফোরণে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় ওসনাব্রুয়েক শহরে আরও একটি ঘটনায় আতশবাজি বিস্ফোরণে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তার জীবন সংকটাপন্ন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় আরও দু’জন আহত হয়েছেন।
ইরাকের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটিতে নিউ ইয়ারের উৎসবে আতশবাজির কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় কমপক্ষে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ২৫ জন আহত হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে গণজমায়েত ও আতশবাজি-সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ইরাকের বিভিন্ন স্থানে তা অমান্য করেই উৎসব করেছে মানুষ।