প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মাঠে-ময়দানে ছুটতে হবে: গয়েশ্বর
প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে রাজপথে নামা ছাড়া মুক্তির অন্য কোনও পথ খোলা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গতকাল নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের উদ্যোগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর মহিলা দলের সভানেত্রী হাবিজা বেগমের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা ও সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
মানববন্ধনে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘আগামীকাল ১ জানুয়ারি, ২০২১; আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত প্রতিদিনও যদি আমরা প্রতিবাদ করি তাতেও আজকে যা চলছে তা কখনোই কমবে না, বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধিই পাবে। সে কারণেই আজকে শুধু প্রতিবাদ আর মানববন্ধনের মধ্য দিয়ে আমাদের মুক্তির পথ খোলা নেই।’
বিএনপির এ স্থায়ী কমিটির নেতা বলেন, ‘আমাদের মুক্ত হতে হলে লড়াই করতে হবে। সেজন্য আমি বলব, দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করার দায়িত্ববোধ থেকে আজকে আমাদেরকে ঠিক করোনার মতো হাসিনাকে উপেক্ষা করে, প্রশাসনের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে মাঠে-ময়দানে ছুটতে হবে। তাছাড়া আমাদের পরিত্রাণ পাওয়ার অন্য কোনও পথ নাই।’
তিনি বলেন, ‘আসুন এই সরকারকে নামানোর জন্য একটু চেষ্টা করি। চেষ্টা করলে সফলও হতে পারি, না হলে ব্যর্থও হতে পারি। কিন্তু চেষ্টা না করে সফলও হলাম না ব্যর্থও হলাম না, আর সবসময় ঈশ্বরের ওপর, আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম- আল্লাহ ছাড়া আর গতি নাই। না, কর্মটা নিজেকেই করতে হবে। চেষ্টাটা নিজেকেই করতে হবে। তখন সৃষ্টিকর্তাও সহায় হবেন।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন, কাপুরুষ এবং মূর্খরা অদৃষ্টের ওপর নির্ভর করে। আর বীর পুরুষরা নিজেদের অদৃষ্ট নিজেরা গড়ে তোলে। এই বিএনপি এই জাতির অদৃষ্ট কিংবা জাতির ভাগ্য। আজকে সেই বিএনপিতে বেগম খালেদা জিয়া আছেন, তারেক রহমান আছেন, তাদের নেতৃত্বে আমরাও বীর পুরুষের মতো আমাদের ভাগ্য, দেশের ভাগ্য, গণতন্ত্রের ভাগ্য, নারী ও শিশুদের আগামী দিনের ভাগ্য প্রতিষ্ঠিত করবো।’