সমগ্র দেশে পুলিশী রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে: মির্জা ফখরুল
‘বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহত গতিতে গ্রেফতারের মাধ্যমে সমগ্র দেশে পুলিশী রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার সন্ধ্যায় বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের কাছে গণতন্ত্র, মানুষের মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের কোন মূল্য নেই। দেশে করোনা সংকট মোকাবেলায় উদ্যোগ নয়, বরং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার ও তাদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ণ চালিয়ে গায়ের জোরে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে রাখাকেই সরকার তাদের প্রধান কর্মসূচিতে পরিণত করেছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হু হু করে বাড়ছে, অথচ সেদিকে সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, কিন্তু বিরোধী দলের কর্মসূচির ওপর হামলা ও নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করতে সরকার যেন সদা তৎপর। এরই ধারাবাহিকতায় আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে এবং দেশব্যাপী বিএনপি’র শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হামলা চালিয়ে আহত করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে এই গ্রেফতারের হিড়িকে দেশে সম্পূর্ণভাবে নাৎসীরাজ কায়েম হয়েছে। সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী কর্তৃক নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার অপকর্মটি যেন সরকারের চিরস্থায়ী কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে অব্যাহত গতিতে গ্রেফতারের মাধ্যমে সমগ্র দেশে পুলিশী রাজত্ব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।
এসময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল ও পুননির্বাচনের দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র বিভিন্ন থানার নেতা যথাক্রমে মনির, স্বপন, লোকমান, হামিদ, ছাত্রদল নেতা জিসান আহমেদ সূর্য, মোঃ সাগর, হানিফ, কবির, আবু তাহের মানিক, ফারুক হোসেন, মোঃ রিপন, মোঃ আনু, মোঃ সরওয়ার, মোঃ কাশেম, নজরুল ইসলাম, আলমগীর বাবু, মোঃ সাইফুল, মোঃ নাছির, শহীদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, মোঃ মাসুম, মোঃ সুরুজ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র বিভিন্ন থানার নেতা কাউসার, বাবুল, মঈন, মেহেদী হাসান, শাকিল, নাঈম, সৌরভ, শরীফ, রবিউল, নুরুজ্জামান, রমজান, রাব্বী, নয়ন, আবহানী, মোশাররফ, উজ্জল, হিমেল, যুবদল নেতা কামাল, ঢাকা জেলাধীন নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুর রাজ্জাক ও তাঁতী দল নেতা রাজিব হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল কালাম, আজাদ, সোহান, শুভ, দেলোয়ার, রবিন, বাদল, দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোঃ রুবেল, ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম টুটুল, মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ফয়সল, সহ-সভাপতি নাজমুল আলম, ঢাকা মহানগর পূর্ব ছাত্রদল নেতা আয়ান আহমেদসহ সারাদেশ থেকে কমপক্ষে ৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এবং পুলিশী লাঠিচার্জে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র বিভিন্ন থানার নেতা যথাক্রমে আহমেদ ইমতিয়াজ টিপু, সাব্বির আহমেদ, মোখলেসুর রহমান, মোঃ সুমন, আবির, নাঈম, রিমন, আসিব, ছাত্রদল নেতা মোঃ মঈন, মোজাম্মেল খান পাঠান, ইসমাইল খান, জাহিদ রহমান জয়নাল, এস কে হাসান, মোঃ ইমরান, আল আমিন সরকার, নাজমুল ইসলাম হিমেল, ঢাকা মহানগর পুর্ব ছাত্রদল নেতা খন্দকার এনামুল হক এনাম, গিয়াস উদ্দিন মানিক, খালিদ হাসান জ্যাকি, আক্তার হোসেন, আসাদুজ্জামান মাসুদ, মনিরুজ্জামান হীরা, সাদ্দাম হোসেন, মুজাহিদুল ইসলাম মেজবাহ, পারভেজ আহমেদ, মোঃ মিলন, মনির হোসেন, মোঃ মামুন, শেখ আহম্মেদ, আরিয়ান রবিন সর্দার, মমিন আহমেদ, ঢাকা জেলাধীন দোহার পৌর বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী, রামপুর থানা কৃষক দল নেতা মোঃ মঈনসহ প্রায় ৭০ জন নেতাকর্মীকে আহত হয়েছে।
আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি। পাশাপাশি আহত নেতাকর্মীদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।