ভোট বর্জনের দেড় ঘণ্টা পর বিএনপি প্রার্থীর মৃত্যু

0

খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে ভোট বর্জনের দেড় ঘণ্টা পর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আবুল খায়ের খানের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে তিনি মারা যান। এর আগে দুপুর দুইটায় অনিয়মের অভিযোগে ভোট বর্জন করেন তিনি।

বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট আব্দুল মান্নান খানের অভিযোগ, ভোট গ্রহণ শুরুর পর থেকে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটারদের জোরপূর্বক নৌকায় ভোট প্রদানে বাধ্য করা ও একজনের ভোট অন্যজন দেওয়াসহ দিনভর বিভিন্ন অনিয়মে লিপ্ত ছিলেন সরকারদলীয় কর্মীরা। একই সাথে নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও অনিয়মের অভিযোগ তোলেন তিনি।

বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান সংবাদ সম্মেলনে এবং নারকেল গাছ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায় পৃথকভাবে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন।

পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, কয়েকটি কেন্দ্রে থেকে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের এজেন্টদের বের করে দেয়। এছাড়া ফিংগার প্রিন্ট দেওয়ার পরে ইভিএমে আওয়ামী লীগের লোকজন ভোট দিয়ে দেয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায় বলেন, আমার এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ভোটারদের সঠিকভাবে ভোট দিতে দেয় নি। ভোটারদের আঙুলের ছাপ মেশিনে দেওয়ার পরে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকেরা গোপনকে ঢুকে জোর করে মেশিনের বাটন চেপে ভোট প্রদান করছে।

দাকোপ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহমুদ হোসেন অবশ্য বলেন, মৌখিকভাবে শুনেছি বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। বিভিন্ন নির্বাচনে দিনের দ্বিতীয়ার্ধে বিএনপি ভোট বর্জনের করে থাকে। এত সুন্দর ফ্রি-ফেয়ার নির্বাচনের পরও ভোট বর্জন করলে করার কিছু নেই।

খুলনা জেলা বিএনপি সভাপতি অ্যাডভোকেট এসএম শফিকুল আলম মনা তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে বলেন, আবুল খায়ের খান চালনা পৌরসভার প্রথম প্রশাসক এবং দাকোপ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com