পুলিশের সামনে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাইয়ের অস্ত্রের মহড়া, প্রতিপক্ষকে হুমকি

0

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পুলিশের সামনে শর্টগান দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দিয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের ভাই। শনিবার দুপুর ২টার দিকে ষোলঘর একে এস কে উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নিজের লাইসেন্স করা শর্টগান প্রদর্শন করে হুমকি দেন ওই ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলাম মাহি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ষোলঘর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলনে বেশ কিছু দিন ধরে ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম সমর্থিত শাহজালাল প্যানেল ও অপর মোয়াজ্জেম হোসেন প্যানেলের সাথে কাউন্সিলর নিয়ে উত্তেজনা চলে আসছিল। শনিবার সম্মেলনে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সভাপতি ও মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী তার বক্তৃতায় বর্তমান ইউনিয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহজালালের গত ১৫ আগস্টের নৌভ্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় শাহজালাল মাইকের কাছে গিয়ে নুরুল আলম চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদ করলে বাকবিতণ্ডা ও হট্টোগোল শুরু হয়।
একপর্যায়ে শাহজালালের পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাগর হোসেন দৌড়ে গিয়ে শর্টগান এনে আজিজুল ইসলামের ভাই নজরুল ইসলামের হাতে তুলে দেন। এ সময় নজরুল ইসলাম মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে শর্টগান প্রদর্শন করে উচ্চবাচ্য শুরু করেন এবং প্রতিপক্ষের লোকজনকে হুমকি দেন। নজরুল ইসলামের পাশে মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে ছিলেন শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। এ ঘটনায় উপস্থিত কাউন্সিলর ও নেতা-কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে লাঠি চার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর চীফ সিকিউরিটি অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির, শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সহ-সভাপতি সেলিম আহমেদ ভূঁইয়া, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান জিঠু প্রমুখ।

সম্মেলনে সংগঠিত এমন পরিস্থিতিতে সবাই হতবাক হয়ে যায়। পরবর্তীতে সম্মেলনের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে কড়া সমালোচনা উঠে আসে।

সম্মেলনে অস্ত্র প্রদর্শন নিয়ে শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হেদায়াতুল ইসলাম ভুঞা বলেন, হট্টগোল হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি শান্ত করার পর সেখানে নির্বাচন চলছে। অস্ত্র প্রদর্শনের ব্যাপারে কেউ কোনো জিডি বা সাধারণ ডায়েরি সন্ধ্যা পর্যন্ত করেনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com