পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী যুবককে হত্যার অভিযোগ

0

রংপুরে প্রতিবন্ধী অটোরিকশা চালককে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে হাসান আলি নামে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার এলাকাবাসী নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি গাড়ি। পরে ওই পুলিশ সদস্য ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার আলতাব হোসেন জানান, শ্যামলী বেগম নামের এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলীর ভাড়া বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রিকশাচালক নাজমুল ইসলামের লাশ উদ্ধার ও ময়নাতদন্তরের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, নাজমুল ইসলামের লাশের গায়ে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। এ ঘটনায় তার স্ত্রী মামলা করেছেন।

নিহতের স্ত্রী শ্যামলী বেগম জানান, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত কনস্টেবল হাসান আলি আশরতপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন এবং তার ৮টি অটোরিকশা আছে। যা তিনি ভাড়ায় চালাতেন। যার একটি চালাতেন ঈদগা পাড়ার আমার স্বামী নাজমুল ইসলাম। তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। ওই অটোরিকশাটি হারিয়ে যাওয়ায় হাসান ক্ষুব্ধ হন নাজমুলের উপর। হাসান নাজমুলের উপর চুরির অপবাদ দিয়ে মঙ্গলবার রাতে ভাড়া বাড়ি থেকে ধরে নিযয়ে হাতুড়ি কাঁচি এবং প্লাস দিয়ে নির্যাতন চালায়। এতে নাজমুল গুরুতর অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরে চোর বলে নাজমুলকে বুধবার দুপুরে নগরীর তাজহাট থানায় সোপর্দ করে করে হাসান আলী। থানা কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

পরে হাসান ও তার স্ত্রী নাজমুলকে বাড়িতে নিয়ে এসে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালায় এরই মধ্যে হাসান বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলেও আটকা পড়ে তার স্ত্রী সুফিয়া বেগম। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী সুফিয়া বেগমকে ঘেরাও করে রাখে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ আসে সেখানে। এক ঘণ্টা পর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পুলিশ সুফিয়া খাতুনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা চালায় পুলিশ। এতেও বাধা দেয় এলাকাবাসী। লাশ বহনকারী এম্বুলেন্সে এবং পুলিশের কাভার্ডভ্যানে ইটপাটকেল ছোড়ে এলাকাবাসী। হাসানের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে পুলিশ আধাঘণ্টা পর জনতার বাঁধা উপেক্ষা করে লাশ নিয়ে যেতে সক্ষম হয় এসময় পুলিশের সাথে এলাকাবাসী ধস্তাধস্তি হয়। পরে আধাঘণ্টা পার্কের মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com