কিউলেক্স মশার উপদ্রব
ডেঙ্গু রোগ রাজধানীসহ সারাদেশে ছড়ানোর পর দুই সিটি করপোরেশন নড়েচড়ে বসলেও তা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মশক নিধন কার্যক্রমে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। এডিস মশার প্রাদুর্ভাব কমার পর শুকনো মৌসুমে দুই সিটিতে দেখা দিয়েছে কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব। আর সেই মশক নিধনে উত্তর সিটি করপোরেশন কর্মসূচি ঘোষণা করলেও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোনো কর্মসূচি দিতে দেখা যায়নি। আর এখন থেকে সতর্ক না হলে ফের বড়ো কোনো ধরনের মশাবাহিত রোগ ছড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কীটতত্ত্ববিদরা।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার জানান, কিউলেক্স মশার প্রাদুর্ভাব সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত থাকে। বর্তমানে দুই সিটিতে যেসব মশা দেখা যায় এর ৮০ থেকে ৯০ ভাগই কিউলেক্স মশা। এই মশার কামড়ের ফলে গোদ রোগ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বাংলাদেশে গোদ ছড়ানোর আশঙ্কা কম। কারণ কিউলেক্স মশা প্রায় ১০ হাজার বার কামড়ালে এই রোগ হয়। এর সঙ্গে রোগীকে কৃমি রোগে আক্রান্ত হতে হবে। তবে এ বিষয়ে আরো গবেষণার দরকার রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের দেশে গবেষণা কম। আইসিডিডিআরবি এ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছে। এই মশার প্রাদুর্ভাব কমানোর বিষয়ে তিনি জানান, মৌসুমের শুরুতেই এটি দমনে লার্ভি সাইড লিকুয়েড ছিটাতে হবে। যার মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।