২০২০ সালে বিদেশ যাওয়ার পথে ৩,১৭৪ অভিবাসীর মৃত্যু: আইওএম
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্বজুড়ে চলাচলে সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অন্তত তিন হাজার ১৭৪ জন মানুষ দেশান্তরী হওয়ার পথে প্রাণ হারিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) ‘মিসিং মাইগ্রেন্টস’ প্রকল্পের আওতায় নিহতের এই সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজার ৩৭৭ জন।
আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার আইওএম’র এক বিবৃতির বরাত দিয়ে রোমভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনসা এ তথ্য জানিয়েছে।
আইওএম জানায়, গত বছরের তুলনায় অভিবাসীদের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে, বিষয়টি এমন নয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে তথ্য সংগ্রহে জটিলতা বেশি ছিল এ বছর। সব রুটগুলো সবসময় পর্যবেক্ষণ করাও বেশ জটিল ছিল। এ বছর এখন পর্যন্ত ইউরোপের অভ্যন্তরীণ রুটে এবং ইউরোপের পথে মারা গেছেন এক হাজার ৭৭৩ জন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম হলেও কয়েকটি রুটে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। যেমন: স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার সময় এ বছর অন্তত ৫৯৩ জন অভিবাসী মারা গেছেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিল ২১০ জন এবং ২০১৮ সালে ছিল মাত্র ৪৫ জন। দক্ষিণ আমেরিকায় ১০৪ জন অভিবাসী মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ভেনেজুয়েলার ছিলেন। বিগত বছরগুলোতে এই রুটে ৪০ জনের বেশি মারা যায়নি।
‘মিসিং মাইগ্রেন্টস’ প্রকল্প এ বছর অন্তত ১৪টি ‘অজ্ঞাত’ জাহাজডুবির খবর নিয়েছে, যেখানে প্রায় ৬০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে, এ বছরের রেকর্ডে এই সংখ্যা যোগ করা হয়নি।
আইওএম অভিবাসীদের জন্য করোনা মহামারিসহ বেশকিছু চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছে বিবৃতিতে। করোনায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও হতাশাজনক পরিস্থিতিতে হাজার হাজার মানুষ নিজের দেশ ছেড়ে মরুভূমি, জঙ্গল ও সমুদ্র পেরিয়ে বিপজ্জনক ভ্রমণ অব্যাহত রেখেছে এবং তাদের মধ্যে কয়েক হাজার মানুষ পথেই মারা গেছেন বলে জানায় আইওএম।