৩০ লাখের লটারি জিতে কানাকড়িও পাননি সেলিম!
জেটিভি ডেস্ক:
টানা সাত বছর ধরে লটারির টিকেট কিনতেন ময়নসিংহের ত্রিশালের দিনমজুর সেলিম মিয়া। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশা ছিল, লাখ টাকার সূর্য একদিন ধরা দেবে তার আকাশে।
ভাগ্য দেবী মুখ ফিরেও তাকিয়েছিলো। একেবারে ত্রিশ লাখ টাকার প্রথম পুরষ্কার! কিন্তু বিধিবাম সেই লটারি জিতেও এক টাকাও হাতে পাননি তিনি।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে শেষ পর্যন্ত টিকেট পুড়িয়ে ফেলেছেন। এখন ভরসা কাছে থাকা টিকেটের ফটোকপি। সেলিম মিয়া জানেন না, কোথায় কিভাবে পুরস্কার ক্লেইম করতে হবে। এদ্বার ওদ্বার করতে করতে চারমাস পেরিয়ে যায়।
এদিকে ক্যান্সার নিরাময় হাসপাতাল জানিয়ে দিয়েছে, নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় পুরস্কারের অর্থ দেবে না তারা। সেলিম মিয়া অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে এখনও এদ্বার ওদ্বার করছেন।
সেলিম মিয়ার ভাষ্য, তার প্রতিক্ষার অবসান ঘটে সবশেষ ক্যান্সার নিরাময় হাসপাতাল লটারি ২০১৯-এ। প্রথম পুরস্কার ৩০ লাখ টাকার নম্বরটি মিলে যায় তার টিকেটের সাথে। তবে টাকা পাননি তিনি।
তিনি আরও জানান, লটারি বিক্রির সময় বলছে বাড়ি পাবেন, গাড়ি পাবেন। এখন বাড়িও পাই নাই। গাড়িও পাই নাই। ১০ টাকাও পাই নাই।
টাকা পেতে চেষ্টা তদবির করেছেন; তাতে পেরিয়ে গেছে চার মাস। রাগে-ক্ষোভে-অভিমানে শেষে চুলার আগুনে পুড়িয়ে ছাই করেছেন স্বপ্নের সেই লটারির টিকিট। টাকা না পেলেও এলাকায় তার নাম হয়েছে ‘লাখোপতি সেলিম’। স্বজনরা বলছেন, টাকার চিন্তায় মানসিক ভারসাম্য কিছুটা হারিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি জানতে লটারি টিকিট দেয়া রাজধানীর ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যায়নি তেমন কাউকেই। লটারির উদ্যোক্তা ডা. মোল্লা ওবায়দুল্লাহ বাকি টেলিফোনে জানালেন, প্রথম পুরস্কারের দাবি করেনি কেউ। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেছে, তাই আর সুযোগ নেই টাকা দেয়ার।
আমার সিম্পল প্রশ্ন, ক্যান্সার নিরাময় হাসপাতালের লটারির নিয়মনীতি কি পুরস্কার দেয়ার জন্য, নাকি না দেয়ার ধান্ধা করার জন্য?