ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে নির্বাচন কমিশনকে আস্থা ফেরাতে হবে -ডা. শাহাদাত

0

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ‘বিভিন্ন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের কর্মকান্ডে ভোটাররা আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তাই এখন আর কেউ ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে চান না। আসন্ন চসিক নির্বাচনে কমিশন এখনো পর্যন্ত আস্থা রাখার মতো উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেনি। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে নির্বাচন কমিশনকে আস্থা ফেরাতে হবে।’

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশসহ প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিটি থানার পুলিশ ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে নানা মানবিক পুলিশিং কর্মকান্ডের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এটা ভালো দিক। তারা মানবিক কর্মকান্ডের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় হতে পারলে ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করার প্রচারণাও চালাতে পারেন। পুলিশসহ প্রজাতন্ত্রের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও ভোটারদের কেন্দ্রে টানতে কাজ করতে পারেন।’

ডা. শাহাদাত হোসেনের দাবি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে মানুষ আর কেন্দ্রমুখী হতে আগ্রহী নয়। তাই দুই-তিন শতাংশের বেশি মানুষ ভোটকেন্দ্রে আসে না। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের খরা ঘোচাতে প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রচারণায় নামতে পারেন। এতে পুলিশসহ জনসম্পৃক্ততা রয়েছে এমন সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো যেতে পারে।’

করোনাকালে নির্বাচন নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘এখন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। তবে নির্বাচনের এখনো প্রায় দেড় মাস বাকি। আশা করছি তত দিনে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে। তখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন।’

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে সবার জন্য সমান ফিল্ড তৈরিতে আগ্রহী নয়। কমিশন এখনো পর্যন্ত আস্থা রাখার মতো উদাহরণ সৃষ্টি করেনি। তাই এ নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা রাখতে পারছি না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) অনেক বয়স্ক ব্যক্তি। আশা করছি অন্তত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু করে একটা উদাহরণ সৃষ্টি করবেন তিনি।’ নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে আমার হোমওয়ার্ক শেষ। কেন্দ্রীয় কমিটিও প্রস্তুত। তবে চিন্তার বিষয় নেতা-কর্মীদের পুলিশি হয়রানি। প্রশাসনের কাছে আমার দাবি থাকবে, নেতা-কর্মীদের যেন হয়রানি করা না হয়।’

চট্টগ্রাম মহানগরী নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে পরিচ্ছন্ন একটি নগরী উপহার দেব। জলাবদ্ধতামুক্ত ও পরিকল্পিত নগরী উপহার দেওয়াই হবে আমার প্রধান লক্ষ্য। প্রচেষ্টা থাকবে সব সংস্থার সমন্বয়ে সুন্দর নগরী উপহার দেওয়ার।’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com