অনশনে কৃষকরা পুলিশি হেনস্তার শিকার

0

ভারতে নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্ত অবরোধ করে ১৯ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, কেরালা, বিহার, মহারাষ্ট্রসহ কয়েকটি রাজ্যের কৃষকরা। দিন দিন বাড়ছে আন্দোলনের তীব্রতা। বিভিন্ন স্থানে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন কৃষকরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কৃষকদের ট্রাক্টরের চাবি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সংকট সমাধানে কৃষকদের সঙ্গে পাঁচ দফা বৈঠকেও কোনো সমাধান না আসায় গতকাল সোমবার অনশন করেন আন্দোলনকারীরা। এদিন সকাল ৮টা থেকে বিক্ষোভরত স্থানগুলোতে অনশন শুরু করেন তারা। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। সিফঘু সীমান্তে অনশনে বসা কৃষক আন্দোলনের নেতা গুরনাম সিং চৌধুরী ফের জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও এনডিটিভির।

বিল হিসেবে পার্লামেন্টে তোলার পরপরই ওই তিনটি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান কৃষকরা। তীব্র সমালোচনা করেন বিরোধীরা। কোনো কিছুই আমলে নেয়নি নরেন্দ্র মোদি সরকার। কৃষকদের আশঙ্কা, নতুন কৃষি আইনের ফলে সরকার আর ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবে না। বাজারের ওপর সরকারের নজরদারিও কমে যাবে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিপণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাবে। মোদি সরকার বারবার বলছে, নতুন তিন আইনে কৃষকরাই লাভবান হবেন। কিন্তু কৃষকরা তা মানতে নারাজ। সরকারের কাছে তাদের একটাই দাবি, নতুন তিন আইনের প্রত্যাহার। সোমবারের অনশনে কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে অনশন করছেন কৃষকরা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কৃষকদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। এদিকে কৃষকদের অনশনের সমর্থনে গতকাল সোমবার গোটা দিন অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালও। কেজরির সঙ্গেই অনশনে শামিল হন দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিশোদিয়া। এদিন সকালে দিল্লি-উত্তর প্রদেশ সীমান্তের গাজীপুর এলাকায় ২৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। এনডিটিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, আন্দোলনে অংশ নিতে যাওয়া কৃষকদের ট্রাক্টরের চাবি কেড়ে নিয়েছে পুলিশ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com