তারেক রহমান আগামীর অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়ক।
আরিফ মাহফুজ: আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ও বাকশালী হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতায় গ্রাস করা যে নায়ক তাঁর নাম তারেক রহমান। যে নায়কের বজ্র কন্ঠে উচ্চারিত হয়েছে ‘‘ দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও‘‘। যিনি দেশ-দল-মাটি মানুষের পারস্পরিক আতœ দহনে নিজেকে যোগ্য নেতৃত্বের এক অগ্নিপন্ডের মত গড়ে তুলেছেন। যাঁর একমাত্র লক্ষ্য আর নেশা পিতার আদর্শকে সামনের রেখে হারিয়ে যাওয়া গনতন্ত্রকে সাধারন জনগনের মাঝে ফিরিয়ে দেয়া। সফল রাষ্ট্রনায়ক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং দেশনত্রী বেগম খালেদা জিয়াই তাঁর একমাত্র প্রেরনার উৎস নয়, তিনি বাংলাদেশে আপামর জনতাকেও প্রেরনার উৎস বলে মনে করেন। দলীয় আদর্শ আর কর্মসূচীকে সামনে রেখে দেশপ্রেমের শক্তিতে নিজেকে সর্বদা নিম্িজ্জত রেখে ন্যায় ও কল্যাণের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছেন তারেক রহমান । নিজের প্রিয় মাতৃভ‚মি ছেড়ে প্রবাসে নির্বাসনে সময় কাটালেও বসে নেই তিনি, কাজ করে যা্েচ্ছন অবিরাম। দলকে ও আসন্ন আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জাতীয়তাবদী সৈনিকদের। অবৈধ সরকারের ধারনা লন্ডনে বিলাস বহুল দিন যাপন করছেন তারেক রহমান। সম্পুর্ণ এক মিথ্যা আর বানোয়াট ধারনা তাঁদের। কখন তিনি বিলাস বহুল জীবন যাত্রা চাননি, যেমনটি চাননি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াও। লন্ডনে অত্যন্ত সাধারন মানুষের মতই জীবন যাপন করছেন তিনি। যদি আরাম আয়েশ আর বিলাস বহুল জীবনই চাইতেন তাহলে ১/১১ এর টার্গেট থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারতেন অনায়াসেই। আর ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সব শর্ত মেনে নিজেকে রাজার হালে রাখতে পারতেন বাংলাদেশের মাটিতেই। তাঁকে ররন করতে হত না ইতিহাসে সবচাইতে লোমহর্ষক ৫৫৪ দিনের কারাবাস। তাঁেক শেষ করে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল সে সময়. শুধু তাই নয় সমস্ত জিয়া পরিবারকেই শেষ করার নীল নক্শা করা হয়েছিল । যা আজও করছে শেখ হাসিনা সরকার। ১৩ টি মামলা দেয়া হয়েছিল তাঁর নামে যার একটিও সংগত এবং সঠিক নয়। কোনটিতেই তারেক রহমানের নাম সরাসরি ছিল না। তৎকালীন সময়ে প্রজাতন্ত্রের কোন পদেই তিনি ছিলেন না। রিমান্ডে নিয়ে আসামীদের নির্যাতন করতে করতে মিথ্যা জবান বন্দী উদ্ধার করে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে। তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে রিমান্ডে নিয়ে যে রকম লোমহর্ষক অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছে তা ইতিপূর্বে কখনই দেখা যায়নি। কোন রাষ্ট্র প্রধান কিংবা তাঁর পরিবারকে পেতে হয়নি এরকম নিষ্ঠুর নির্যাতন। যা বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় লিখা থাকবে চিরদিন। নির্যাতনে নিঃস্পেষিত মানুষটি কখনওই ভাবেননি ক্ষমতায় এলে এগুলোর প্রতিশোষ নেব বরং তিনি নমিত দৃষ্টি ভঙ্গিতে বলেছেন ‘তিক্ত অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে এগুতে চাই। আমি একদিন ফিরব । বাংলাদেশ নিয়ে আমার স্বপ্নের রুপায়ন ঘটাব‘ প্রিয় পাঠক তাঁর এই উক্তির গভীরতা আপনারাই অনুমান করুন । কতটুকু তাঁর দেশপ্রেম, কতটুকু ভালবাসা দেশকে নিয়ে। নির্মম অতীতকে ভুলে নিজেকে গড়ে তুলেছেন একজন স¦চ্চ দেশপ্রেমিক হিসেবে। ৫৫৪ দিনের কারাবাস আর আজকের তারেক রহমান একটি বিশাল উপলব্দি। জাতীয় সংকটে পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য নৈতিক শক্তি ও সৎ সাহসে ভরপুর আজকের তারেক রহমান। সম্ভাবনাময় নেতৃত্বের এক অগ্নিপিন্ড তিনি।সাধারন মানুষের বন্ধুত্ব অর্জনে সক্ষম হয়েছেন সহজে। সাধারন মানুষের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন অনায়াসে ঠিক তাঁর পিতার মতই। দেশের আপামর অগনিত মানুষ আজ তাদের প্রিয় নেতার প্রিয় মূখ দেখার অধীর অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। তৃণমৃলের আশার আলো তারেক রহমান পিতার পদাঙ্ক অনুসরন করে পৌছে গেছেন আবাল-বৃদ্ধা-বনিতার মণিকুঠিরে। নিজেকে পৌছাতে পেরেছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষ থেকে শুরু করে প্রান্তিক মানুষ পর্যন্ত। আসছে আগমী ২০ শে নভেম্বর এই সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপনবাজ সৈনিকের জন্ম দিন । তাঁর জন্ম দিনে শহী জিয়া আদর্শে গড়া জাতীয়তাবাদী সূর্য সন্তানদের শপথ হউক একটাই অবৈধ সরকারের পতনের মাধ্যমে গনতন্ত্র পুনঃউদ্ধার করা এবং রাজপথে দুর্বার আন্দোল করে দেশনত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তকরা। দেশে ফিরবেন জননেতা তারেক রহমান । তিনি একমাত্র আগামীর অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়ক । বাংলার মাটিতে পুরন হবে শহীদ জিয়ার স্বপ্ন, নস্যাৎ হবে বাকশালীদের দেশ বিক্রির চক্রান্ত। পরিশেষে জানাই-শুভ জন্মদিন-প্রিয় দেশ নায়ক আপনাকে বেঁচে থাকুন দেশের কল্যাণে হাজার বছর।
লেখক
আরিফ মাহফুজ
নির্বাহী সদস্য(সাবেক) যুক্তরাজ্য বিএনপি
যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক(সাবেক)যুক্তরাজ্য জাসাস