আ.লীগের প্রয়োজনে আলেমদের সঙ্গী বানায়, প্রয়োজন শেষে জঙ্গি: আলাল

0

সাম্প্রতিক সময়ে আলেম সমাজকে হেয় করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বলেন, ‘আবার যখন প্রয়োজন তাদের কাধের উপর হাত দেয়া হচ্ছে। যখন প্রয়োজন তারা আলেমদের ব্যবহার করে যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখন তাদের আর মূল্য থাকে না। যখন প্রয়োজন তখন তারা হয় সঙ্গী আর যখন প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় তখন তারা হয় জঙ্গি।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে কল্যাণ পার্টির আয়োজন বিজয়-কে সুসংহত করার জন্য ভাবনা-বিনিময় শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

কিছুদিন আগে একজন সিকি মন্ত্রী বলেছেন আওয়ামী লীগ ইচ্ছা করলে ঘাড়ে হাত দিয়ে বন্ধুত্ব রাখতে পারে আবার ইচ্ছা করলে ঘাড় মটকে দিতে পারে উল্লেখ করে আলাল বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা ঘরের মধ্যে বিয়ে দিয়ে রাজাকারদের স্বীকৃতি দিতে পারবে কিন্তু প্রকৃত রাজাকারের বিচার করতে পারবে না। এইযে দ্বিমুখী নীতি কারণ আমরা সরে এসেছি গণতন্ত্র থেকে সাম্য মানবিক মর্যাদা থেকে।’

উন্নয়নে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘আমি আপনাদের একটি তথ্য দেই। প্রত্যেকটি কথা আপনাদের মনে রাখতে হবে আমি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অনেক মামলার আসামি, বহুবার এই সরকারের আমলে জেল খেটেছি সাড়ে চার বছরে সরকারের আমলে কারাগারে ছিলাম। ৩১ বার আমাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে আমাকে এইরকম ফাঁসির আসামির সেলে রাখা হয়েছে রাখার পর বলা হয়েছে আপনি যেখানে আছেন সেখানে আমরা অনুপ চেটিয়াকে সাত বছর রেখেছিলাম। সুতরাং আমি বুঝি সাইবার অ্যাক্টের মামলা আমার নামেও হতে পারে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন,’ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ইনডেমনিটি দিতে দিতে এমন করেছেন যে রেকর্ড বাংলাদেশের যতবার যতজন রাষ্ট্রপতি এসেছে তারা সবাই মিলে যত খুনের যত ধর্ষণের এবং অন্যান্য অপরাধের আসামিদের দণ্ড মওকুফ না করেছেন উনি একা তারচেয়ে চারগুণ বেশি করেছেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি। কিন্তু আমাদের মাঝে এগুলো আলোচনা হয় না। কারা করবে এটাও নিয়েও আপনাদের প্রশ্ন থাকতে পারে। এই মহামান্য রাষ্ট্রপতি কিন্তু বলেছেন বুয়েটের এক অনুষ্ঠানে ছোট্ট বন্ধুরা তোমরা যখন ইঞ্জিনিয়ার হবে রডের বদলে বাঁশ দিও না সিমেন্টের বদলে বালি দিও না। তিনি নিজে পর্যন্ত স্বীকার করেছেন এই সব অনাচার অত্যাচার দেশে আজকে চলছে।

আলাল আরও বলেন, ‘এই সরকারের আমলে গত ১২ বছরে নিগৃহীত হতে গুম হতে, খুন হতে, নির্যাতিত হতে ধর্ষিতা হতে বিএনপির করা লাগে না। ভিন্নমত হলেই যথেষ্ট। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বিএনপি করেন না, বিচারপতি এসকে সিনহা বিএনপি করেন নাই। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান ও বিএনপি করেন না সাংবাদিক কনক সরওয়ার বিএনপি করেন না অথচ কেন তারা আজকে দেশের বাহিরে। তুহিন মালিক বিএনপি করেন না কেন তিনি দেশে থাকতে পারেন না?

সেমিনারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক উপস্থিত ছিলেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com