সুপ্রিম কোর্টেও ট্রাম্পের মামলা খারিজ

0

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হলেও বিতর্ক শেষ হয়নি। বাইডেন নির্বাচনে জয়লাভ করলেও ট্রাম্প এখনও পরাজয় স্বীকার করেননি। উল্টো কারচুপির অভিযোগে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মামলাও করেন। যদিও তার সবই খারিজ করে দিয়েছেন। পরে ন্যায়বিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যান ট্রাম্প। কিন্তু এবার সুপ্রিম কোর্টও ট্রাম্পের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফলে প্রত্যয়ন না করার জন্য সেখানকার আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। পেসিলভানিয়ার আদালত শুরুতেই ট্রাম্প শিবিরের এ মামলা খারিজ করেন। 

পরে এ মামলার আপিল নিয়ে ট্রাম্প শিবির সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। ট্রাম্পের আশা ছিল, সুপ্রিম কোর্টে তার নিয়োগ দেওয়া তিনজন রক্ষণশীল বিচারপতির আনুকূল্য পাবেন। কিন্তু ৮ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প শিবিরের মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে, ট্রাম্প তার আশার নৌকায় আরেকটা বড় ধাক্কা খেলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনবস্থা এমনিতেই জটিল, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবার তাকে আরও জটিল করে তুলছেন। নির্বাচনী বিরোধ ঝুলিয়ে রেখে ট্রাম্প ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার নানা চেষ্টা করছেন। নির্বাচনে হারলেও ট্রাম্প ২০ জানুয়ারির আগপর্যন্ত নাটক জমিয়ে রাখবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, তিনি এখন পর্যন্ত ক্ষান্ত দিচ্ছেন না। তবে ট্রাম্পের এসব চেষ্টা সফল হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা ২০০০ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি রুথ গিনসবার্গের ‘রেফারেন্স’ দিচ্ছেন। জর্জ বুশ ও আল গোরের মধ্যে নির্বাচনী মামলায় বিচারপতি গিনসবার্গ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের অধিবেশনকে গুরুত্বপূর্ণ বলে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

নিউইয়র্ক টাইমসের তথ্যমতে, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের একাধিক মামলা ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়নি। সর্বশেষ টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন অন্য চার অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। 

এই পদক্ষেপকে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দেওয়া বা সময়ক্ষেপণের আরেকটি হীন প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে। মামলায় জর্জিয়া, মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিন অঙ্গরাজ্য ভোটে অনিয়মে জড়িত ছিল এবং তার তদন্ত প্রয়োজন বলে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে এই চার অঙ্গরাজ্যের ফলাফল বাতিল ও নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যয়নের সময়সীমা ১৪ ডিসেম্বর থেকে বাড়ানোর আদেশ চাওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন-উত্তর রাজনীতি এখন নতুন দৃশ্যপটে প্রবেশ করছে। ইলেক্টোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাইডেনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেনি। তার আগপর্যন্ত বেশ কিছু নাটকীয় ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচনী আইনে বলা আছে, ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় বুধবারের পরের প্রথম সোমবার ইলেক্টোরাল কলেজের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর এই দিনটি পড়েছে ১৪ ডিসেম্বর।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com