১৫ টন পচা পেঁয়াজ বের হল খাতুনগঞ্জের আড়ত থেকে

0
পেঁয়াজের দাম যখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, তখন চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মসলা মার্কেট হিসেবে খ্যাত হামিদুল্লাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার এবং মধ্যম চাক্তাই এলাকায় এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা।

আড়তদাররা বলছেন, এসব মিয়ানমার থেকে আনা পেঁয়াজ, পরিবহনের সময় এগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।

পরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলার গাড়িতে করে এসব পেঁয়াজ নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আরেফিন নগর এলাকার আর্বজনা ফেলার স্থানে নিয়ে ফেলে।

৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আহমদ ছফা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে হামিদুল্লাহ মার্কেটের ভিতরে ও বাইরে এবং চাঁন মিয়া বাজার ও মধ্যম চাক্তাই এলাকায় পচা পেঁয়াজ ফেলে যায়।

“ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে খবর পেয়ে চারটা গাড়িতে করে সেগুলো আরেফিন নগর নিয়ে ফেলে আসি। পচা পেঁয়াজ প্রায় ১৫-১৬টন হবে।”

পেঁয়াজ সঙ্কটে কার কী দায়পেঁয়াজ নিয়ে কাড়াকাড়িপেঁয়াজের দাম নিয়ে সংসদে ক্ষোভ  পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমাতে আদালতপেঁয়াজ আমদানিতে ৬৬ হাজার টনের এলসি, এসেছে ৬ হাজার  

পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার বিষয়ে হামিদুল্লাহ মার্কেট কাঁচামাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ইদ্রিচ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসব খারাপ পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে আসছে। সেখান থেকে আনার সময় যেগুলো বোটের (নৌকা) নিচে পড়ে যেগুলো, সেগুলো পচে যায়।

“এরকম দুই থেকে তিন ট্রাক হবে। যেগুলো বিক্রি হয়নি, সেগুলো ফেলে দেওয়া হয় রাতে। এরপর আর ফেলা হয়নি।”

গত সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর সরকার মিয়ানমার থেকে আমদানি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়। তবে মিয়ানমারের পেঁয়াজের মান নিয়ে তখনও প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা।

পেঁয়াজের দাম সেপ্টেম্বরে ৩০-৪০ টাকা থেকে দুই মাসে আড়াইশ টাকা ছাড়িয়েছে। সঙ্কট কাটাতে সরকার মিসর, তুরস্ক, চীন থেকে আমদানির উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে বৃহস্পতিবারের পর থেকে খাতুনগঞ্জের আড়তে মিসর ও চীন থেকে আমদানি করা কোনো পেঁয়াজ নেই বলে জানান আড়তদারদের নেতা ইদ্রিচ।

তিনি বলেন, “এখন মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ আসছে সেটাই বিক্রি হচ্ছে। গতকাল (শুক্রবার) ১৬৮ টন এসেছিল। আজ দুপুর পর্যন্ত এসেছে ৭০টন।”

খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে শনিবার কেজি প্রতি পেঁয়াজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।

“পাইকাররাও এত দামে পেঁয়াজ কিনতে চাইছে না, যে দাম উঠেছে সেটা অবিশ্বাস্য!” বলেন ইদ্রিচ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com