টার্গেট চীন: শেষ আক্রমণ চালাচ্ছেন ট্রাম্প!

0

প্রেসিডেন্ট হিসেবে একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এখনো তিনি চীনের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছেন এবং ব্যবস্থা নিচ্ছেন। যার সর্বশেষ উদাহরণ হলো, চীনের সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি। মার্কিন রাজস্ব ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত, চীনের ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির ১৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও তাদের পরিবারকে মার্কিন মুলুকে ঢুকতে দেয়া হবে না। কারণ, হংকং-এরবিরুদ্ধে দমনমূলক নতুন সুরক্ষা আইন করার পিছনে তারাই ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। এই কর্মকর্তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পত্তি থাকলে তাও বাজেয়াপ্ত করা হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, ”এই সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণ, আমরা আমাদের বন্ধু দেশগুলোকে আশ্বস্ত করতে চাই। জানাতে চাই, আমরা তাদের পাশে আছি। আর চীনকে তার প্রতিটি কাজের জন্য দায়বদ্ধ থাকতে হবে।”

হংকং-এ নতুন সুরক্ষা আইন চালু হওয়ার পর সেখানে গণতন্ত্রপন্থীদের বিক্ষোভ দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। গণতন্ত্রপন্থীদের ব্যাপকভাবে ধরপাকড় করা হচ্ছে। এভাবেই চীন হংকং-এ যাবতীয় বিক্ষোভ বন্ধ করে দিতে চাইছে। নতুন আইনে পুলিশের হাতে বিপুল ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের পক্ষে ক্ষতিকর মনে হলেই তারা যে কোনো বিক্ষোভ বন্ধ করতে পারে, যেকোনো মতামত প্রকাশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে এবং গ্রেপ্তার করতে পারে।

গত মাসে হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্লোগান দিয়েছিলেন তিনজন। সেই অপরাধে সোমবার সুরক্ষা আইনে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পম্পেও বলেছেন, বেজিং সমানে হংকং-এর গণতন্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা একটা পেটোয়া প্রশাসন রেখেছে। বিরোধীদের অস্তিত্ব কার্যত নেই। তারা ১৯৯৭ সালের হংকং হস্তান্তর চুক্তি মানছে না।

আমেরিকা আগেই হংকং-এর বেজি-পন্থী নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এ বার চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হলো। বলা হচ্ছে, ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে এটা হলো চীনকে ট্রাম্পের শেষ উপহার।

নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের ওপর

ভূমধ্যসাগর বিতর্কে নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তুরস্কের ওপর। এ বিষয়ে আগামী ১০ ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নে বসতে পারে বৈঠক। ইউরোপের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এ বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।

ভূমধ্যসাগরের একটি অংশে মিলেছিল খনিজ তেলের সন্ধান। মূলত ওই তেলের খনি নিয়েই গত অগাস্ট মাস থেকে বিতর্ক চলছিল গ্রিস ও তুরস্কের মধ্যে। কীভাবে ওই তেল উত্তোলন করা সম্ভব তা দেখার জন্য জাহাজ পাঠিয়েছিল তুরস্ক। গ্রিস খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া এলাকাটি তাদের দাবি করে তুরস্কের জাহাজ দ্রুত সরিয়ে নিতে বলে। তবে গত চার মাসে কেবল একবারই ভূমধ্যসাগরের ওই এলাকা থেকে তুরস্ক তাদের জাহাজ সরিয়েছিল। পরে আবার তারা ওই এলাকায় তাদের জাহাজ পাঠায়। এ বিষয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, তেল উত্তোলনের পরীক্ষা অব্যাহত থাকবে। কারো নিষেধ তুরস্ক মানবে না, কারণ ওই এলাকা গ্রিসের নয়।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন ধরেই ওই বিতর্কে অংশগ্রহণ করে আসছে। ওই সময় গ্রিসের পাশাপাশি তারাও জাহাজ সরিয়ে নিতে তুরস্ককে অনুরোধ করে আসছিল। কিন্তু তুরস্ক তাতে কর্ণপাত করেনি। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন চেষ্টা করেছিল গ্রিস, তুরস্ক ও সাইপ্রসকে একসাথে বসিয়ে বৈঠক করার, কিন্তু ওই চেষ্টা সফল হয়নি। এ পরিস্থিতিতেই সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

তবে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেন, তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ বিষয়ে আবারো বৈঠকে বসবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ওই বৈঠকে যেকোনো সিদ্ধান্ত হতে পারে। তবে ফ্রান্স চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করুক।

এ দিকে নিষেধাজ্ঞা জারি হলে তুরস্কের সাথে অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের। নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে তেল ও খনিজের উপরেও।

সোমবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেন, গ্রিসের সাথে বৈঠকে বসতে তিনি রাজি। ইউরোপীয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষটিকে অন্ধের মতো দেখছে।
বিতর্কটি নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আচরণ করছে তা আশাব্যঞ্জক নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com