সরকার নিজেই সিন্ডিকেট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে: ন্যাপ
অব্যাহতভাবে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে ব্যর্থতার দায়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ।
শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গত চার মাসে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ বার। কোনো কিছুতেই সেই দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না সরকার। আগের দিনের ১৭০ টাকার দেশি পেঁয়াজ বৃহস্পতিবার হয়েছে ২০০ টাকা। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ টাকা। ঢাকার বাইরে কোথাও আবার বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। কী কারণে দাম বেড়েছে তা কেউ বলতে পারছে না। অযৌক্তিকভাবে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের ভুক্তভোগী জনগণসহ সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। পেঁয়াজের মূল্য সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে।
তারা বলেন, সম্প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘১০০ টাকার কম কেজি দরে পেঁয়াজ পাওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই এবং বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। পেঁয়াজের চালান দেশে এসে পৌঁছালে পেঁয়াজের দাম কমে আসবে’। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে স্পষ্টই প্রমাণিত হচ্ছে পেঁয়াজের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারের চাইতেও শক্তিশালী।
নেতারা বলেন, সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী বলেছিলেন পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ কথা বলার পরদিনই পেঁয়াজের দাম হয়ে গেল দেড়শ টাকা। তারপর আরেক লাফে পেঁয়াজের দাম ২০০-২২০ টাকা হয়ে গেল কী করে? তাহলে কি বাজারে সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নাই। নাকী পেঁয়াজের অসৎ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরকারের প্রভাবশালীরা জড়িত?
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। জনগণের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। তারা প্রশ্ন করছেন, পেঁয়াজের বাজার কারা নিয়ন্ত্রণ করছে? তারা কি এতই শক্তিশালী যে, সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না? পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি কি অসাধু ব্যবসায়ীরা, নাকী সরকার নিজেই বা তাদের দলীয় লোকদের দ্বারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাড়াচ্ছে? পেঁয়াজের মূল্য জনগণের ক্রয়সীমার মধ্যে সীমিত রাখতে না পারাটা সরকারের চরম ব্যর্থতা।