আ.লীগ সরকার সন্ত্রাসীদেরকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করছে: বিএনপি
বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার সুযোগ বা অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-আওয়ামী লীগ খুন-জখম-সন্ত্রাসের মাধ্যমে দেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত রেখে আওয়ামী শাসনকে প্রলম্বিত করতে লাগাতার জঘন্য খেলায় মেতে উঠেছে। এসময় ভয়াবহ দুঃশাসনকে আড়াল করার ঘৃণ্য অপকৌশলের অংশ হিসেবে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর ঘৃণ্য হামলা এবং খুন-জখমের নারকীয় বিভৎসতা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
গত ২৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাতে মাগুরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর এবং জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবীব কিশোরের বাসভবনে হামলাসহ পৌর যুবদল নেতা শান্তিকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার কাপুরুষোচিত ও ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব এ বিবৃতি প্রদান করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মাগুরা জেলা বিএনপি কার্যালয়সহ আহসান হাবীব কিশোর এর বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা নারকীয় তাণ্ডব এবং পৌর যুবদল নেতা শান্তিকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করার ঘটনায় আবারো প্রমাণিত হলো- সারাদেশটাকে এখন নিরাপত্তাহীনতার অতল গহব্বরে নিমজ্জিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তম ও সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সকল অধিকার হরণের মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশকে বিরোধী দলমুক্ত করে আওয়ামী একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘমেয়াদে ভোগ করতেই বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ মদদ না থাকলে মাগুরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও যুবদল নেতাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে আহত করার সাহস পেতো না সন্ত্রাসীরা। ধারাবাহিকভাবে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা এবং এর লাগাম টেনে ধরতে সরকারের অনিচ্ছাই সন্ত্রাসীদেরকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ অব্যাহত গতিতে চালিয়ে যেতে আরো উৎসাহিত করছে।