ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ
ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে রাজশাহীর শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে নগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন খড়খড়ি এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১০ শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে রায়হান, তাসিন, ফওজিয়া, জেবা ও সুস্মিতা হাসপাতালের ৩১ ও ১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। এরা প্রত্যেকেই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।
এ ঘটনায় রাতেই শিক্ষার্থীরা চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই মামলায় নগরীর খড়খড়ি এলাকা থেকে মিঠু নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এই তথ্য নিশ্চিত করে চন্দ্রিমা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ব্রজগোপাল জানান, ছাত্রীরা তাদের হোস্টেলে জামাকাপড় নিতে এসেছিলেন। এটা নিয়ে সেখানে গন্ডগোল হয়েছে বলে তিনি খবর পান। পরে দ্রুত সেখানে পুলিশ পৌঁছায়। এ ব্যাপারে রাতে শিক্ষার্থীরা থানায় অভিযোগ দেন। পরে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এই প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যে কোনও মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেছে।
এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল শনিবার (২৮ নভেম্বর) কলেজটি পরিদর্শনে আসবে। এর আগের দিনই কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলছেন, দুপক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।