আ.লীগ সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে: বিএনপি
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকারের উৎখাতের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফেরাতে বাংলাদেশের মানুষ আজ ‘দুটি নামের দিকে (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান)’ তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে দুটি নামের দিকে। একটি নাম হলো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আর আরেকটি নাম হচ্ছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যে তারেক রহমান বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।’
গতকাল বুধবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা ও স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সেলিমা রহমান বলেন, ‘আজকে সময় এসেছে জনগণকে বাঁচাবার, তাই জনগণকে বাঁচাতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা তখনই সফল হবো যখন আমরা সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারব, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সত্যিকার অর্থে মুক্ত করে নিয়ে আসতে পারবো এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারবো।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা কোন অবস্থায় আছি। বর্তমান সরকার একটা অবৈধ সরকার। যে সরকার করোনার সময়ে জনগণকে কোনও সাহায্য-সহযোগিতা করে না। বরং বর্তমান অবৈধ সরকারকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়ে ব্যবসায়ীদের দুর্নীতির ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’
সরকার প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে মন্তব্য করে বিএনপির নীতিনির্ধারক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান মধ্যে প্রথম হল নির্বাচনী ব্যবস্থা সেটিকে বর্তমান অবৈধ সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। জনগণের এখন আর নিজের পছন্দমত ভোট দেয়ার অধিকার নাই। আজকে এভাবে দেশ আর চলতে পারে না।’
সেলিমা রহমান বলেন, ‘বেগম জিয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তাঁকে আজকে বর্তমান অবৈধ সরকার জোর করে কারাগারে অন্তরীণ করে রেখে গৃহবন্দি করে রেখেছে। তাকে রাজনীতি করতে সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। কারণ বেগম জিয়া বাইরে থাকলে তাদের যে লুটের রাজনীতি এটি করা সম্ভবপর হবে না। তাই তারা বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে গৃহবন্দি করে রেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা ভাইরাস যখন শুরু হয় তখন বর্তমান সরকারের অনেক অবৈধ মন্ত্রী-এমপিরা বলেছিলেন আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী। অথচ করোনার চেয়েও শক্তিশালী এই সরকার করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোনও কাজই করতে পারেনি। তারা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের ফেলে দিয়েছিল মৃত্যুর দিকে। আক্রান্ত ব্যক্তিরা সঠিক চিকিৎসা পায়নি, চিকিৎসকরা পায়নি তাদের সুরক্ষা সামগ্রী। আক্রান্ত ব্যক্তিরা চিকিৎসার জন্য ছুটে চলেছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত। তারপরও তারা সঠিক চিকিৎসা পায়নি। এমন সময়ে আলোকবর্তিকা হিসেবে মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন।’