সশস্ত্র বাহিনী দিবস গৌরবের স্মারক: ন্যাপ

0

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বাহিনীতে কর্মরত সব সদস্যের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ (ন্যাপ) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রযাত্রা এবং বিজয় গৌরবের স্মারক হিসেবে সেনাবাহিনী জাতির কাছে চিহ্নিত।

২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শুভেচ্ছা বার্তায় নেতৃদ্বয় এই দিবসে দেশের জন্য শহীদ হওয়া সশস্ত্র বাহিনীর বীর যোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

তারা বলেন, এই দেশ আর এই দেশের স্বাধীনতা অর্জনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে। আর এই সমন্বিত আক্রমণের সামনে টিকতে না পেরে পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি বাহিনী। তাই ২১ নভেম্বর আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে বিশেষ দিন হয়ে সবার মাঝে বিরাজ করছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রাম ছাড়াও যুদ্ধ পরবর্তী দেশ গঠনে, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বিদেশে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে এই সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা আমাদের দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে বারবার। সোমালিয়া, আইভরিকোস্ট, কঙ্গো, লেবানন, হাইতি, সিয়েরালিয়ন, লাইবেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী ওইসব দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়ন এবং শান্তি রক্ষার পাশাপাশি নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের পাশে সার্বিক সহযোগিতা করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি রক্ষায় কাজ করছে প্রায় চার দশক ধরে। যা এই এলাকার এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষার অনন্য উদাহরণ। এছাড়া সামাজিক উন্নয়ন, রাস্তাঘাট তৈরি এবং দুস্থ মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী। দক্ষতা ও দেশ প্রেমের সমন্বয় ঘটিয়ে প্রিয় সশস্ত্রবাহিনী তার যাত্রা মসৃণ রাখবে সশস্ত্র বাহিনী দিবসে এই আমাদের প্রত্যাশা।

তারা বলেন, জাতীয় উন্নয়নে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল অবদান আজ সর্বজন স্বীকৃত। সশস্ত্রবাহিনী এমনি এক বাহিনী যার প্রতি এদেশের জনগণের রয়েছে অগাধ আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কল্যাণে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা ছাড়াও দেশের অবকাঠামো ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ছিন্নমূল মানুষের জন্য বাসস্থান তৈরি করা এবং অন্যান্য জনকল্যাণমুখী কাজে প্রতিনিয়ত সশস্ত্রবাহিনী নিবেদিতপ্রাণ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com