আ.লীগ সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রুখতেই বিরোধীদের গ্রেফতার-গুম করা হচ্ছে: বিএনপি

0

বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী নিখোঁজ আছে বলে জানিয়ছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত কয়েকদিনে আমাদের দলের নয়জন নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। একজনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পাঁচজন এখনো নিখোঁজ আছেন। যারা নিখোঁজ আছেন তারা হলেন যুবদল পল্টন থানার যুগ্ম-সম্পাদক লিওন হক, যুবদল তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক মামুন পারভেজ তন্ময়, সহসভাপতি তৌহিদুল ইসলাম হাসিব, যুবদল উত্তরা পশ্চিম থানার সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মজুমদার মাসুম ও সদস্য সেলিম মিয়া। যে চারজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে তারা হলেন মোস্তাফিজুর রহমান, মিজানুর রহমান মিজান, রবিউল ইসলাম ও আবুল হাসনাত অনু’।

তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন গত ১২ নভেম্বর নির্বাচনের দিন হঠাৎ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় গণপরিবহনগুলোতে যে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে এগুলো আগের সেই কৌশল। আমি আগেই বলেছি, সরকার নিজেরাই পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করে। তারপর বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করা হয়’।

তিনি বলেন, ‘আজকে বাস্তবতা হচ্ছে যে, এ সরকার শুধু জনবিচ্ছিন্নই হয়ে পড়েনি, তারা পুরোপুরি দেউলিয়া হয়ে গেছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নির্ভর না করে তারা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। সে জন্য তারা আজকে রাষ্ট্রের সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ ও করায়ত্ত করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়’।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে উত্তরার নিজ বাসা থেকে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই যে গুমের সংস্কৃতি এটা বাংলাদেশে আগে কখনো ছিল না, মানুষ নামও শোনেনি। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর থেকে ক্রমান্বয়ে এটা বাড়তে শুরু করেছে। এ গুমের মধ্য দিয়ে গোটা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক জীবনে একটা ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী গুম হয়েছেন ২০১২ সালে। তিনি আর ফিরে আসেননি।  ঢাকা সিটি করপোরেশনের জনপ্রিয় কমিশনার চৌধুরী আলম, লাকসামের সংসদ সদস্য পারভেজ গুম হয়েছেন আর ফেরেননি। আমাদের ছাত্রনেতা, যুবদল নেতা, স্বেচ্ছাসেবক নেতা সারাদেশে প্রায় ৫০০ গুম হয়ে গেছেন। তাদের হদিস পাওয়া যায়নি’।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের কাছে আহ্বান জানাব যে, কোনো ব্যক্তি যদি নিখোঁজ হয় তার দায়িত্ব হবে সম্পূর্ণ সরকারের। এটা অসম্ভব যে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে যাওয়ার পর সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দারা তাকে তুলে নিয়ে যাবে। আমরা কোন দেশে বাস করছি? এখানে কি কোনো আইনের শাসন নেই। ১৯৭২ সালের সংবিধানে আমাদের যে গণতন্ত্রের নূন্যতম অধিকার দিয়েছে সে বিষয়গুলো আমাদের নেতাকর্মী যারা ভিন্নমত পোষণ করেন তাদের জন্য একেবারে অনুপস্থিত হয়ে গেল?’

তিনি অবিলম্বে এসব নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে খালেদা জিয়াসহ সারাদেশের নেতাকর্মীর মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান। একইসঙ্গে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com