বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না, গোড়ায় হাত না দিলে সমস্যার সমাধান হবে না
মাদক মামলার বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের বিধান বাদ দিতে বিল পাস করেছে জাতীয় সংসদ। বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রস্তাব উত্থাপনের সময় বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বিচারবর্হিভূত হত্যার কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, দু-একজন খুচরা মাদক ব্যবসায়ীকে বিচারবহির্ভূত হত্যার আওতায় এনে মাদক নির্মূল করা যাবে না। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার করা মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় সরকারদলীয় একজন সাবেক এমপি ও তার পরিবারের ২৬ সদস্যের নাম এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল-২০২০–এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, বিচারক–স্বল্পতার কারণে আইনটি ঠিকমতো বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ কারণে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এটি হলে মাদক মামলার জট আর হবে না। সময়মতো মামলা নিষ্পত্তি করা যাবে।
বিলের আলোচনায় রুমিন ফারহানা বলেন, মাত্র ২৫ গ্রাম মাদক রাখার দায়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু তাতে কি মাদকের অপরাধ কমেছে? সরকার কি আইনের শাসন, বিচার বিভাগের ওপর ভরসা রেখেছে? মাদক নির্মূলের চেষ্টা করেছে? তা–ই যদি করত, তাহলে দুই বছরে কী করে ৮০০ জনকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়। একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে রুমিন বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পরও কক্সবাজারে মাদক কেনাবেচা বেড়েছে। সুতরাং বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। গোড়ায় হাত না দিলে সমস্যার সমাধান হবে না।