তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মির্জা ফখরুল এর বাণী
তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’র বাণী
“বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, জনাব তারেক রহমানের ৫৬তম জন্মবার্ষিকীতে তাঁর প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।
তৃণমূল পর্যায়ে তরুন সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে উন্নয়ন ও উৎপাদনের মধ্যে যুক্ত করলে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে-এই চিন্তার ধারক-বাহক ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে তারেক রহমান সারাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান। তিনি দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক। তৃণমূলে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে স্বাবলম্বী করার জন্য তাঁর হাঁস মুরগী-ছাগল বিতরণ ও প্রতিবন্ধী মানুষদের কম্পিউটার বিতরণ, জটিল রোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষের চিকিৎসার উদ্যোগ ছিল যুগান্তকারী-যা আজও দেশবাসী ভুলে যায়নি। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষকে আর্থিকভাবে স্বচ্ছল করতে পারলে তারা শিক্ষার প্রতি আগ্রহ ও জাতীয় উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবে-এই বিশ্বাসেই তিনি উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে দেশের সকল জনপদে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
দেশাত্ববোধে জারিত হওয়া অপার সম্ভাবনাময় সেদিনের তারুণ্যদীপ্ত নেতার অভ্যূদয় দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীরা কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাই ১/১১-তে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার জনাব তারেক রহমানকে নি:শেষ করার জন্য মামলা, শারিরীক নির্যাতন ও ক্রমাগত কুৎসা রটনার ধারা বর্ষণ চালায়। কিন্তু তারপরও তাঁকে নীরব ও বিচলিত করা যায়নি, দুর্বল করা যায়নি তাঁর অটুট মনোবলকে। যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার ক্ষমতায় এসেই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তাদের পূর্বসূরীদের মতোই নানামূখী চক্রান্তে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। তাঁর নামে অসংখ্য মামলা দায়ের করে একের পর এক সাজা দিয়ে যাচ্ছে বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি। এখনও দু:শাসনের হুমকি প্রতিদিনই তাঁর ওপর বর্ষিত হচ্ছে, তারেক রহমানকে চক্রান্তজালে আটকাতে চলছে নিরন্তর বহুমূখী ষড়যন্ত্র। ক্ষমতা জবরদখলকারীরা অবিরাম কটুক্তি ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে গেলেও তারেক রহমানকে তাঁর বিশ্বাস ও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র টলাতে পারেনি। বিএনপি-কে ধ্বংস ও নেতৃত্বহীন করতে চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১/১১’র সরকারের মামলায় ফরমায়েসী রায় দিয়ে বর্তমান সরকার তাঁকে অন্যায়ভাবে আটক রেখেছে, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকারের সকল ষড়যন্ত্র-কুটকৌশল মোকাবেলা করে বিএনপি এক ও ঐক্যবদ্ধ আছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের নূতন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে।
এই দু:সময়ে বহু দুর থেকে দলকে গোছানোর কাজ করছেন অত্যন্ত মনোযোগ, ধীশক্তি ও দক্ষতা সহকারে। জনমনে আস্থা অটুট আছে।আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন, নিপীড়ন দূঃশাসনে দেশ আজ ধ্বংসের সর্বশেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা আজ হুমকির মূখে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দী করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার-হয়রানী ও গুম করা হচ্ছে। এই দু:সময়ে জনাব তারেক রহমানের নি:শংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে। আমি তাঁর আশু সুস্থতা, সাফল্য, সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করছি।”