আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে মেজর জলিল চেতনার বাতিঘর: ডাঃ ইরান
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ থেকে মিল কল-কারখানার যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বাথরুমের ফিটিংস লুটপাট করে অসংখ্য ট্রাক ভর্তি করে ভারতে নেয়ার পথে যশোর সীমান্তে আটকে দেয়ার কারনে সেক্টর কমান্ডার মেজর জলিলকে গ্রেফতার করেছিল বাংলাদেশ সরকার মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আগ্রাসন বিরোধী সংগ্রামে মেজর জলিল দেশপ্রেমিক শক্তির চেতনার বাতিঘর। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুঁখে দাড়ানোর কারনে মেজর জলিলকে মুক্তিযুদ্ধের খেতাব থেকে বঞ্চিত ও স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম রাজবন্দী হয়ে কারাগারে যেতে হয়েছে। নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনে মুক্তিযুদ্ধ থেকে আজ পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশে তাবেদার সরকার প্রতিষ্ঠা করে শোষন ও লুন্ঠন করছে। জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলী দিয়ে শেখ মুজিব ফারাক্কা, গঙ্গা, তালপট্টি, বেরুবাড়ী ভারতে হাতে তুলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে ভারত পুতুল ও মুখ্যমন্ত্রীর মতো ব্যবহার করে দেশ ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিনত করেছে। দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও রাষ্ট্রীয় অখন্ডতা আজ বিপন্ন। তাই দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে মেজর জলিলের মতো ভারতীয় সীমান্ত আগ্রাসন, রাজনৈতিক আগ্রাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখে দাড়াতে হবে। বাংলাদেশে লক্ষ লক্ষ অবৈধ ভারতীয় নাগরিক চাকুরী ও ব্যবসা বানিজ্যে করছে, অবিলম্বে তাদের চিহিৃত করে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি নিশ্চিত করে ভারতে ফেরত পাঠাতে হবে।
তিনি আজ (বৃহঃবার) বিকাল ৪টায় নয়াপল্টন কার্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের নবম সেক্টর কমান্ডার মেজর (অবঃ) এম এ জলিলের ৩১ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ লেবার পার্টির আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান, ঢাকা দক্ষিন সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হুমাউন কবীর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা তরিকুল ইসলাম সাদী, কেন্দ্রীয় নেতা লিটন খান রাজু, ছাত্রমিশন সাধারন সম্পাদক মোঃ শরিফুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক হাফিজুর রহমান রিফাত প্রমুখ। সভায় মেজর জলিলের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।