শারীরিক সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর প্রতি দোয়া চেয়েছেন রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর আবারও এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেডিকেল বোর্ড।
ল্যাব এইড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড আগামী শনিবার আবারও তার এনজিওগ্রাম করে হার্টের অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিাকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ও রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু।
এর আগে গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে রিজভীর হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়।
গত ১১ নভেম্বর বিএসএমএমইউতে তার হার্টের এমপিআই (Myocardial Perfusion Imaging-MPI) টেস্ট করা হয়েছে। এমপিআই পরীক্ষায় কিছু সমস্যা ধরা পরে। রিজভী পরবর্তী চিকিৎসা নিতে গত সোমবার থেকে আবার ল্যাবএইড হাসপাতালের ৬০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি হয়েছেন।
রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হার্টের ভায়াবিলিটি (কার্যক্ষমতা) দেখার পর পরবর্তী চিকিৎসা সম্পন্ন করা হবে।
গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রিজভীর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় পরদিন ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে শ্যামলীর আদাবরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডা মনোয়ারুল কাদির বিটু বাসায় রিজভীর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন।
রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী বলেন, ‘স্যার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’