নুরুল ইসলাম বুলবুলের গ্রামের বাড়িতে তল্লাশী; নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াতের
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদর-৩ আসনে গত জাতীয় নির্বাচনের জনপ্রিয় প্রার্থী এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের গ্রামের বাড়িতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানী ও তল্লাশীর প্রতিবাদে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নুরুল ইসলাম বুলবুলের ছোট ভাই মো. শরিফুল ইসলাম গতকাল ১৭ নভেম্বর সকাল ১০টা ৪৫মিনিটে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি কিছু দিন যাবৎ কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত ভাইয়ের জানাজা ও দাফন কাফনের জন্য সকল আত্মীয় স্বজন তার গ্রামের বাড়িতে আসেন, মানবিক দৃষ্টিতে এটাই স্বাভাবিক। স্থানীয় এলাকার সাধারণ মুসল্লিগণ রাতে মরহুমের জানাজায় উপস্থিত হওয়ার লক্ষ্যে তাদের বাড়িতে উপস্থিত হতে থাকেন।
এঅবস্থায় ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা পুলিশ সেখানে অভিযানের নামে তল্লাশী পরিচালনা করে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয় মাত্র ৫০ জনের বেশি লোক সমবেত হতে পারবেন না। যার কারণে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি জানাজায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি। পুলিশ স্বল্প পরিসরে জানাজা নামাজ আদায় করতে বাধ্য করে। এমনকি জানাজার পর নুরুল ইসলাম বুলবুলকে তার শোকাহত পরিবারের সাথে মিলিত হয়ে শোক প্রকাশের সুযোগটুকুও দেয়া হয়নি। গভীর রাত ১টার দিকে পুলিশ তাদের বাড়ি ঘেরাও করে তার অসুস্থ বৃদ্ধা মা ও আত্মীয়-স্বজনকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলে।
নুরুল ইসলাম বুলবুলকে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ বাড়ির প্রত্যেকটি জায়গায় তল্লাশি চালায়। একটি শোকাহত পরিবারকে এভাবে হয়রানি করা এবং তাদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এ ধরনের বর্বর আচরণের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, শোকাহত জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের বাড়িতে গভীর রাতে পুলিশী তল্লাশী কোনো বিবেবকবান মানুষ মেনে নিতে পারে না। জানাজা পূর্ব সময়ে ৯৫ ভাগ মুসলমানের বাংলাদেশে এ ধরনের আচরণ মেনে নেয়া যায় না। অন্যদিকে শোকাহত পরিবারের প্রতিও এ ধরনের ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করা সত্যিই ন্যাক্কারজনক। তার বাড়িতে তল্লাশীর নামে পরিবারের সদস্যদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ যা অমানবিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।
আমরা এহেন ন্যক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি এবং মানুষের মানবিক যেকোনো বিষয়ে এহেন আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি