নেতাকর্মীদের স্বজনদের সাথে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী: বিএনপি
জাতীয়তাবাদী যুবদলের পল্টন থানার যুগ্ম আহবায়ক লিয়নকে খুঁজে না পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে বিএনপি। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দফতর এর চলতি দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
বিবৃতিতে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার সাথে জানাচ্ছি যে, জাতীয়তাবাদী যুবদল, পল্টন থানা শাখার যুগ্ম আহবায়ক লিয়নকে মঙ্গলবার দুপুর থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার সহকর্মী ও পরিবারের সদস্যরা থানা সহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাননি। তার সহকর্মীরা জানিয়েছেন-যুবদলের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মঙ্গলবার মিছিলের পর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ নিয়ে তার পরিবার ও সংগঠনের নেতাকর্মীরা গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, এখন বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে আটকের পর অস্বীকার করার বিষয়টি বর্তমান সরকারের আমলে সংঘটিত গুমেরই ধারাবাহিকতা হিসেবেই ধরে নিচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এর আগেও গত ১২ নভেম্বর ২০২০ থেকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান নিখোঁজ হবার পরও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করে। পরবর্তীতে ৪/৫ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটক রাখার পর তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। মঙ্গলবার যুবদল খিলগাঁও থানা শাখার সভাপতি আবুল হাসনাত অনুকে সাদা পোশাকধারী আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আটক করে নিয়ে যাবার পর থেকে তারও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এর ৮ ঘন্টা পর অনুকে একইদিন রাতে পল্টন থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিএনপির এ মুখপাত্র বলেন, লিয়ন হকের সহকর্মী ও পরিবারের বদ্ধমূল ধারণা-তাকেও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করে গোপন রাখছে।
আমরা আশা করি-অবিলম্বে লিয়ন হক-কে জনসম্মুখে হাজির করা হবে। অন্যথায় তার অনাকাঙ্খিত কিছু হলে কোনভাবেই এর দায় সরকার ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এড়াতে পারবে না।
এদিকে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোমবার জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে হামলা চালিয়ে ফরিদপুর জেলা যুবদল সভাপতি রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরেন, পিন্টুসহ কমপক্ষে ১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয় বলেও অভিযোগ করেন প্রিন্স।
এসময় তিনি আরো বলেন, মিথ্যা মামলায় গতরাতেও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতারের জন্য চলছে পুলিশী সাঁড়াশী অভিযান। নেতাকর্মীদের না পেয়ে বাড়ীর লোকজনদের সাথে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। বিএনপি’র পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের ওপর এই জুলুম-নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।