ভাষা সৈনিক জাহিদ হোসেন মুসা আর নেই
ঝিনাইদহের রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক ও ভাষা সৈনিক মো. জাহিদ হোসেন মুসা মিয়া আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৯ বছর।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডির ঈদগাহ মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা বুধবার ঝিনাইদহ ওয়াজির আলী হাইস্কুল মাঠে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে। পরে মহিশাকুণ্ডের বটতলায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ছয় পুত্র, এক কন্যা এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মো: নাসের শাহরিয়ার জাহেদী শিল্পগ্রুপ রেডিয়েন্টের চেয়ারম্যান। জাহিদ হোসেন মুসা রেডিয়েন্ট গ্রুপ অব কোম্পানিজ ও সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকালের সম্মানিত উপদেষ্টা ছিলেন।
ভাষা সৈনিক মো: জাহিদ হোসেন মুসা ১৯৩২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি নানার বাড়ি যশোর জেলার ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের পাইকপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মওলানা ভাসানী ঝিনাইদহে গিয়ে তার বাড়িতেই থাকতেন। সে সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ছিলো তার সুসম্পর্ক। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝিনাইদহ মহকুমার ন্যাপ সভাপতির ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে ১৯৫৫-৫৭ পর্যন্ত ঝিনাইদহ মহকুমা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সাথে যুক্ত ছিলেন।
জাহিদ হোসেন মুসা অসংখ্য গান ও কবিতা রচনা করেছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের নাম ‘অনেক দেরিতে’। নিজ গ্রাম নারিকেলবাড়িয়ায় আমেনা খাতুন কলেজে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মুসা মিয়া একাডেমিক ভবন’। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে গরেয়েছে ‘মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়’। প্রত্যন্ত অঞ্চলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত করা হয় ‘মুসা মিয়া ডায়াবেটিক সেন্টার’।