ধর্ষণের পর ৬ বছরের শিশুর ফুসফুসও উপড়ে ফেলল পাষণ্ডরা

0

ছয় বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে অপহরণের পর জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে দুই যুবক। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরে ওই শিশুর শরীর থেকে ফুসফুস টেনে উপড়ে ফেলে। সম্প্রতি ভারতের উত্তরপ্রদেশে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত রোববার জঙ্গল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়। এরপর ‘কালো জাদু’র অনুশীলনের জন্য তার ফুসফুস উপড়ে ফেলে ধর্ষকরা।

গ্রেফতারের পর ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত পরশুরাম কুরিল জানান, কালো জাদুর মাধ্যমে ফুসফুসের সাহায্যে নিজের নিঃসন্তান অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছিলেন তিনি। এ ঘটনায় প্ররোচনার দায়ে তার স্ত্রীকেও আটক করেছে পুলিশ।

দীপাবলির রাতে বাজি কিনতে গিয়েছিল শিশুটি। তখনই তাকে অপহরণ করেন পরশুরামের ভাইয়ের ছেলে অনুকূল কুরিল ও বন্ধু বীরান। অপহরণের পর তারা কাছের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। এরপর ফুসফুস উপড়ে নিয়ে মরদেহটি ফেলে যায়। শিশুটির ফুসফুস ছিঁড়ে পরশুরামের হাতে তুলে দেয় তারা।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার সময় তারা মদ্যপ ছিল। সোমবার পরশুরামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেও পরে জেরার মুখে সব স্বীকার করেন তিনি।

জিজ্ঞাসাবাদে পরশুরাম জানান, ১৯৯৯ সালে তার বিয়ে হলেও কোনো সন্তান হয়নি। তাই ভাইয়ের ছেলে অনুকূল ও তার বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এই ভয়ঙ্কর ফন্দি আঁটেন। অন্ধ বিশ্বাসকে প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে পরশুরামের স্ত্রীকেও আটক করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি শিশুটির পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com