ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ
দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশালের মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। পরে প্রবাসী মোতালেব কাজীর বাবা আবুল হাশেম কাজী এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত কাজী মুরাদ হোসেন মুলাদী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তেরচর এলাকার মৃত আতাহার কাজীর ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। অন্যদিকে দুবাই প্রবাসী মোতালেব কাজীর বাড়ি উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নে। তার স্ত্রীর নাম আছমা খানম লাকী। তিনি চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত (৭, ৮ ও ৯ নম্বর) নারী সদস্য।
জানা গেছে, প্রায় ১৭ বছর আগে দুবাই প্রবাসী মোতালেবের সঙ্গে আছমা খানম লাকীর বিয়ে হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।
আবুল হাশেম কাজী জানান, ২০১৬ সালে চরকালেখান ইউপি নির্বাচনে ছেলের বউ আছমা খানম লাকী সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী হয়। ওই সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদের সঙ্গে তার পরিচয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে তারা মুঠোফোনে প্রায় কথা বলতো। পরে লাকীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন মুরাদ। তবে লাকী ও মুরাদের পরকীয়ার বিষয়টি টের পায়নি ছেলে মোতালেব। কায়েক মাস পরকীয়ার বিষয়টি টের পাওয়ায় সন্তানদের কথা ভেবে লাকীকে অবৈধ সম্পর্ক ত্যাগ করতে বলেন। এতে তাদের মেলামেশা আরও বেড়ে যায়।
গত ১৬ নভেম্বর মোতালেব ফোন করে অবৈধ সম্পর্ক ত্যাগ করার অনুরোধ জানালে লাকী মুরাদকে জানায়। পরে ওই দিনই মুরাদ নগদ ২০ লাখ টাকা এবং চার লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকারসহ লাকীকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়।
আবুল হাশেম কাজী বলেন, বিষয়টি ওই দিনই ছেলেকে জানিয়েছি। পাশাপাশি ওই দিনই মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মুরাদ হোসেন জানান, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ ধরনের কথা রটানো হচ্ছে।
মুলাদী থানা ওসি ফয়েজ উদ্দীন জানান, আবুল হাশেম কাজী নামে এক ব্যক্তি তার ছেলে বউ মুরাদ নামে এক যুবকের সঙ্গে পালিয়ে গেছে বলে গত সোমবার (১৬ নভেম্বর) মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন।