‘যারা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি ফারজানা ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পেছনে রাজনৈতিক ইন্ধন আছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, যারা শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য এমন হীন কার্যক্রম চালাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট করবে এবং মিথ্যা অভিযোগ দেবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখন আমাদের প্রযুক্তি অনেক এগিয়েছে। কে কোথায় কার কাছ থেকে অর্থ সহযোগিতা নেওয়ার পায়তারা করেছে সেগুলো আমরা জানতে পারি। কিন্তু অনেক সময় জাতীয় স্বার্থেল কথা চিন্তা করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথা চিন্তা করে ছাড় দেওয়া হয়েছে। দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় বলা আছে মিথ্যা অভিযোগ করলে দণ্ড পেতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, আমরা অভিযোগকারীদের কাছে তথ্য উপাত্ত চাওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এক ঘণ্টার পথে অভিযোগ নিয়ে আসতে তাদের চারদিন কেন লেগেছে? স্বাভাবিক কারণেই মনে হয়েছে এ দেরিটা দুরভিসন্ধিমূলক। অভিযোগ থাকবে, সেটা জমা হলে তদন্ত হবে।
ন্যায়বিচারের জন্য উভয় পক্ষের শুনানির প্রয়োজন আছে। কিন্তু তার আগেই গান-বাজনা-কনসার্ট ঘোষণা দেওয়া, গভীর রাতে তালাভাঙা, তালা লাগানো। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণার পরও ক্যাম্পাস ত্যাগ না করে কি উদ্দেশ্যে সারারাত অবস্থান করা হচ্ছে? সেটা জানতে চাই।