ফেনীতে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হামলা ও শিক্ষার্থীদের গ্রেফতারে শিবিরের নিন্দা
‘ফেনীর একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখা আয়োজিত এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের হামলা এবং অন্যায়ভাবে ৪৩ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
সোমবার এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ ছাত্রদের জীবন ধ্বংসের নির্মম খেলায় মেতে উঠেছে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ। সোমবার কোনো কারণ ছাড়াই ফেনীর একটি কমিউনিটি সেন্টার থেকে ছাত্রশিবির ফেনী শহর শাখা আয়োজিত এইচএসসি ও আলিম শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
পরে তারা কমিউনিটি সেন্টারে গেটে তালা মেরে পুলিশকে খবর দেয়। কিন্তু পুলিশ হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টা আওয়ামী নেতাদের হুকুমে ঘটনাস্থল থেকে অন্যায়ভাবে ৪৩ মেধাবী শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের জন্য কোনো যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারেনি পুলিশ। বরং লজ্জাজনকভাবে দায়িত্বহীনতাকে আড়াল করতে পুলিশ কর্মকর্তা ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, নাশকতার পরিকল্পনার দায়ে’ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মুখস্ত বুলি আওড়িয়েছে।
যৌথ বার্তায় তারা আরো বলেন, জাতি জানতে চায়, একটি স্বনামধন্য কমিউনিটি সেন্টারের অডিটরিয়ামে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রায় অর্ধশত মানুষের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠান গোপন বৈঠক হয় কিভাবে! দেশে ঘরোয়া অনুষ্ঠান করাও কী পুলিশের কাছে অপরাধ! দেশের সংবিধান থেকে অনুষ্ঠান, সভা সমাবেশ করার অধিকার সংক্রান্ত অনুচ্ছেদটি তুলে দেয়া হয়েছে কি না! যদি তুলে দেয়া না হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ
আইনের পবিত্র পোশাকে এমন বেআইনি কাজ করে যাচ্ছে কিসের ভিত্তিতে?
আওয়ামী লীগের নির্দেশমত নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার পুলিশের কোন দায়িত্বের মধ্যে পড়ে? মূলত মেধাবী ছাত্রদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে দেয়ার জন্য পুলিশ এই অনৈতিক ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে নিরপরাধ মেধাবী ছাত্রদের প্রতি পুলিশের এই দায়িত্বহীন আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নিরপরাধ ছাত্রদের নিয়ে সরকার ও পুলিশের এই নির্মম তামাশায় জাতি বিরক্ত ও ক্ষুব্ধ।
এসময় তারা বলেন, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আইনের লেবাসে পুলিশের দায়িত্বহীন বাড়াবাড়ি জাতিকে বিক্ষুব্ধ করে তুলেছে। সরকারের অনৈতিক অনুকম্পা পেতে অতি উৎসাহি পুলিশ সদস্যরা বরাবরাই এমন ঘৃন্য কর্মকাণ্ডের জন্ম দিচ্ছে। যা জনগণকে দারুণভাবে আশ্চর্যান্বিত করছে। ফলে জনগণের কাছে পুলিশ এখন আস্থাহীনতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। পুলিশের এমন ধারাবাহিক প্রতিহিংসাপূর্ণ তামাশায় হাজারো মেধাবী ছাত্রের শিক্ষাজীবন আজ ধ্বংসের মুখে। জনগণ নিজেদের কষ্টের অর্থে পুলিশকে লালন করে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দেয়ার জন্য নয়। অবিলম্বে এমন বেআইনি ও ঘৃন্য অপকর্ম বন্ধ করে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। জনগণ আর এমন অমানবিক তামাশা দেখতে প্রস্তুত নয়।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিতে এবং ভবিষ্যতে এমন দায়িত্বহীন কাজ থেকে বিরত থাকতে সরকার ও পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি