রিজভী ফের হাসপাতালে ভর্তি
আবারও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মনোয়ারুল কাদির বিটু জানিয়েছেন, পরবর্তী চিকিৎসা নিতে রিজভী মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
ল্যাবএইডের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে মঙ্গলবার থেকেই মেডিকেল বোর্ড গঠন করে রিজভীর পরবর্তী চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
গত ১১ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর হার্টের মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং (এমপিআই) টেস্ট করা হয়েছে। হার্টের এনজিওগ্রাম করার ২৮ দিন পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগে এই পরীক্ষা করা হয়। এমপিআই টেস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান ডা. বিটু।
রিজভীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, ‘রুহুল কবির রিজভীর হার্টের ভায়াবিলিটি (কার্যক্ষমতা) দেখার জন্য এমপিআই পরীক্ষা করার পর পরবর্তী চিকিৎসা সম্পন্ন করতে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১৫ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালে তার হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। এ সময় তার হার্টে একটি ব্লক ধরা পড়লে ইনজেকশনের মাধ্যমে সেটির ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ অপসারণ করা হয়। এরপর ২৭ অক্টোবর ল্যাবএইড হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সোহরাবুজ্জামানের নেতৃত্বে সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এ সময় তার ইকো কার্ডিওগ্রামও করা হয়।’
চিকিৎসায় শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত ২৮ অক্টোবর রিজভীকে ল্যাবএইড হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর তিনি চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর আদাবরের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। ডা. রফিকুল ইসলাম ও ডা মনোয়ারুল কাদির বিটু বাসায় রিজভীর চিকিৎসার নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন। রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বাসায় তার সঙ্গে সবসময় ছিলেন।
রিজভীর ব্যক্তিগত সহকারী আরিফুর রহমান তুষার বলেন, ‘স্যার উন্নত চিকিৎসার জন্য আজ আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক দলের মানববন্ধন শেষে দলীয় কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রিজভীর হার্ট অ্যাটাক হয়। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার এনজিওগ্রাম করা হলে হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।