ময়মনসিংহে ১২ জনের মাথার খুলিসহ ২ বস্তা হাড় জব্দ
দুই বস্তা ও কার্টনভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও শরীরের বিভিন্ন হাড় জব্দ করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা হয় এসব হাড় ও খুলি। মাথার খুলি ও শরীরের হাড়গুলো দেশের বিভিন্ন ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিক্রি হতো।
রোববার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানানো হয়।
ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মানুষের কঙ্কালসহ বাপ্পী নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত বাপ্পী নগরীর কবরখানা রোড এলাকার বাসিন্দা। শনিবার ২টার দিকে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ অভিযান চালিয়ে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা কঙ্কালের মধ্যে ১২টি মাথার খুলি ও ২ বস্তা দেহের হাড় রয়েছে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত করার বিপুল কেমিক্যালও উদ্ধার করা হয় বাপ্পীর কাছ থেকে।
পুলিশ জানায়, পুলিশের কাছে খবর আসে ময়মনসিংহ নগরীর রামকৃষ্ণ মিশন রোডের একটি বাসায় মজুত করা হয়েছে মানুষের কঙ্কাল। শনিবার রাত ২টা থেকে কোতোয়ালি মডেল থানার একদল পুলিশ অভিযান শুরু করে। ভোর ৪টা পর্যন্ত চলা অভিযানে আটক করা হয় বাপ্পি (৩০) নামে এক যুবককে। পুলিশের অভিযানের বাপ্পির হেফাজতে থাকা কার্টনভর্তি ১২ জনের মানবদেহের কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার জানান, বাপ্পী দীর্ঘদিন ধরে কঙ্কালের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ইতোপূর্বে সে একবার গ্রেফতার হয়েছিল কঙ্কালসহ। ওই মামলাও জেলও খেটেছে সে। কিন্তু তার পরও বাপ্পি তার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল। বাপ্পিসহ বেশ কয়েক সদস্যের একটি চক্র জড়িত কঙ্কাল চুরির সঙ্গে।
নিষ্ঠুরভাবে কবর থেকে মরদেহগুলো তোলে কেমিক্যালে মাধ্যেম প্রক্রিয়াজাত করা হতো। পরে সেগুলো দেশীয় ক্রেতার পাশাপাশি দেশের বাইরেও বিক্রি হতো বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে রোববার দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে চক্রের অন্যতম সদস্যকে আটক করা হয় বলে জানান তিনি।